আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১২:৩১

হাশেমের মৃত্যুকে হত্যাকান্ডে রূপান্তর ও মিথ্য মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।


বিশেষ প্রতিনিধি : যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের ভাতুড়িয়া গ্রামে হৃদরোগে মৃত্যুবরণকারী হাশেম আলীর মৃত্যুকে বিশেষ কারনে হত্যাকান্ডে রূপান্তর ও মিথ্যা হত্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার প্রধান আসামি নুর ইসলাম ওরফে নুরু মুহুরির মেয়ে তানিয়া আক্তার ।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টায় প্রেসক্লাব যশোরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে তানিয়া বলেন ১৬ ই জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেলে হাশেম আলী তার নিজ বাস ভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সে দিন মসজিদের মাইকেও হাশেম আলী হৃদরোগে ইন্তেকাল করেছেন মর্মে ঘোষণা দেয়া হয়। ঐদিন পুলিশ হাশেমের লাশ অজ্ঞাত কারনে তার বাসভবন থেকে এনে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করায়।
হাশেমের মৃত্যুর দীর্ঘ ৪ মাস পর আমরা জানতে পারি আমার বাব নুর ইসলাম আমার ভাই ইসরাজুল, স্বামী ইনামুল সহ ১৮ জনের বিরূদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজাহারে আমার বাবা নুর ইসলামকে হত্যার হুকুমদাতা বলা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট। হত্যার কারন হিসেবে হাশেমের ছেলে আছর আলীর রসচুরি সূত্র দেখানো হয়েছে। ১৫ই জানুয়ারি আকবর আলী নামক জনৈক ব্যক্তির বাগান থেকে রস চুরি করে আছর আলী। ঐ সময় আকবর আলী আছর আলী সহ তার কয়েকজন বন্ধু কে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং মুচেলকা দিয়ে ছেড়ে দেন। এখানে আমার বাবা নুর ইসলামের সম্পৃক্ততা কোথায় ?
আকবর আলীর বাগান থেকে রস চুরি হয়েছে কোন হট্টগোল হলে তার সাথে হবে আমার বাবার সাথে নয় । কারন আকবর আলী আমাদের কোন আত্মীয় স্বজন নন বা আমার বাবা আকবর আলীর বাগানের পাহারাদারও নন এবং তার বাগান থেকে আমাদের বাড়ীর দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। মৃত হাশেম আলীর সাথে আমাদের কোনও পূর্ব শত্রæতাও নেই ।
তানিয়া আরও বলেন , আমার বাবা একজন সরকারী চাকুরিজীবি । তিনি মণিরামপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। মামালার এজাহারে বর্ণিত তারিখ ও সময়ে আমার বাবা তাঁর কর্মস্থলে কর্তব্যরত ছিলেন । এর প্রমাণ পত্রও আমাদের নিকট আছে। তাহলে আপনাদের নিকট আমার প্রশ্ন মণিরামপুরে অবস্থান করা কালে কী ভাবে আমার বাবা হত্যার আদেশ দেয় ?

পরে স্থানীয় পত্রপত্রিকা ও লোকমুখে জানতে পারি আমার ভাই মৎস ব্যবসায়ী ইমরোজ হত্যাকে প্রভাবিত করার জন্য ইমরোজ হত্যার প্রধান আসামী সেলিম রেজা পান্নু মৃত হাশেম আলীর স্ত্রী লিলিমা বেগমকে ব্যবহার করে সাজানো হত্যা মামলা দায়ের করিয়েছেন । ২০১৯ সালের ২৫ জুলাই আমার ভাই ইমরোজকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করে পান্নুগং। ইমরোজ হত্যা মামলায় আটকও হয় পান্নু বর্তমানে জামিনে মুক্ত হয়ে আমাদের কে হয়রানি করানোর জন্য নানা রকম টালবাহানা করছে । হাশেমের হৃদরোগে মৃত্যুকে হত্যাকান্ডে রূপান্তর পান্নুর নীল নঁকশা বলে দাবি করে গণমাধ্যম কর্মীদের সঠিক তথ্য অনুসন্ধান করে সঠিক সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানান তানিয়া।

হাশেমের মৃত্যু হৃদরোগে নাকি হত্যা জানতে অনুসন্ধান করেছিলো খানজাহান আলী ২৪/৭ নিউজের একটি টিম সেখানেও উঠে এসেছিল হাশেমের মৃত্যুর মূল রহস্য ।

অনুসন্ধানটি দেখুন

আরো সংবাদ