১২ জন নিহতের সেই আলোচিত সড়ক দূর্ঘটনার ৭২ ঘন্টা পর এবার মহাসড়কে চালকদের বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রনে মোবাইল কোর্ট করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে ঢাকা – খুলনা মহাসড়কের কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের সন্মুখে এ অভিয়ানে যাত্রীবাহি গড়াই ও রপসা পরিবহন সহ ৯ টি যানবাহনে মামলা ও সাড়ে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট সূবর্ণা রানী সাহা এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান সহ থানার পুলিশ ফোস উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট সূবর্না রানী সাহা জানান, ইদানিং মহাসড়কে দূর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। পরিবহন চালকদের প্রতিযোগীতামুলক বেপরোয়া গতিতে যান চলাচলই দূর্ঘটনার মুল কারন। এসব দূর্ঘটনায় সাধারন নিরিহ মানুষের জীবনহানী সহ অনেকেই পঙ্গুত্ব বরন করছে। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন যানবাহনের গতিরোধ ও চালকদের কাগজপত্র দেখতে অভিযানে নেমেছেন।
এ সময়ে তিনি ওই সড়কের আলোচিত দ্রুতগতির যাত্রীবাহি গড়াই ও রুপসা পরিবহন সহ ৯ টি যানবাহনের নামে মামলা ও সাড়ে ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তিনি আরো জানান, যানবাহন চলাচলে সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রয়ারী ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বারোবাজার আলহাজ আমজাদ আলী ফিলিং স্টেশনের সন্নিকটে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে ১২ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে অকালেই ঝরে গেছে ৬ জন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তারা ওইদিন যশোর এম এম কলেজে পরিক্ষা শেষে বাড়ীতে ফিরছিলেন।