আজ - শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ২:১৮

২০ মাস পর ছাত্রলীগ নেতা ইমনের খুনি খোরশেদ গ্রেপ্তার।

যশোর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন ইমনের খুনি খোরশেদ আলম খুরশিদ ২০ মাস পর পুলিশের খাঁচায় বন্দি হয়েছেন।

রোববার দুপুরে শহরের গোলগুল্লার মোড় থেকে খুরশিদকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি পুলিশ। এদিনই তাকে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে আদালতে। খুরশিদ ওই এলাকার মাহবুব আলম বাবলুর ছেলে। এ খুনের দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ঘটনার দিন ভারতে ছিল এমন দাবি করে জালজালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করেছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। অবশ্য এখনো ধরা পড়েনি এ খুনের আরেক স্যুটার পেঁচো।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যশোর শহরের বেজপাড়া আজিমাবাদ কলোনীর আনোয়ার হোসেনের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন ইমন এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাস দমনে ব্যাপক ভূমিকা রাখায় সদালাপি ও সৎ সাহসী ইমনের উপর নজর পড়ে অপরাধী চক্রের। সে কারণে তাকে খুন করতে শুরু নানা জল্পনা কল্পনা। ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে এলাকার গোলগুল্লার মোড়ে একটি চায়ের দোকানে অবস্থান করছিলেন ইমন।

পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাস খোরশেদ আলম খুরশিদ ও একই এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে পেঁচোসহ কয়েকজন ইমনকে খুন করতে সুযোগটি ওইদিন কাজে লাগায়। আর সেই থেকে এলাকা ছেড়েছে চিহ্নিত ওই সন্ত্রাসীরা। গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেঁচো ও খুরশিদরা এলাকায় অবাধে বিচরণ করেছে। যশোর সদরের বর্তমান সংসদ সদস্যের সেল্টারে থেকে তারা এলাকায় ঘুরাফেরা করছিল বলে এমন অভিযোগ রয়েছে এলাকায়। কিন্তু নির্বাচন পার হতে না হতেই আবার হাওয়া হয়ে যায় ওই সন্ত্রাসীরা।

মাঝে মধ্যে তারা এলাকায় আসা-যাওয়া করে এমন খবরে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকে যশোর সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেজপাড়া গোলগুল্লার মোড়ে হানা দেন হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে একদল সিআইডি পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের পর শুরু হয় ওই জনপ্রতিনিধির তদবির। কিন্তু বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে অল্প সময়ের মধ্যেই আদালতে প্রেরণ করা হয়। সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয় আদালতে।
সূত্রে আরো জানা গেছে, ইমন খুনের ঘটনার দিন আটক খুরশিদ ভারতে ছিল বলে দাবি করে জালজালিয়াতির মাধ্যমে কিছু কাগজপত্র হাজির করেছে। তার পাসপোর্ট বইয়ে থাকা ভিসায় ওইদিন ভারতে থাকার কথা বলে দাবি করেছে। কিন্তু খুরশিদের মোবাইল ফোনটি ট্রাক করলেই মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছে।
এদিকে ইমন খুনের স্যুটার বেজপাড়ার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে পেঁচো এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তাকেও আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক হারুন অর রশিদ।
উল্লেখ্য, পেচো এবং খুরশিদ শুধু ইমনের খুনিই নয় তাদের বিরুদ্ধে ভেড়া শাকিল, আব্দুল মান্নানসহ অনেক হত্যাকা-, অস্ত্র, বোমাবাজিসহ নানা ধরনের অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেছেন, ইমনের খুনি পেচোকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

খানজাহান আলী 24/7 নিউজ / সোহেল হাসান।

আরো সংবাদ