আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহকে উদ্দেশ্য করে নিক্সন চৌধুরী বলেছেন, আসুন দুই জনে মিলে দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি ও উন্নয়ন একত্রে করি। ফরিদপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগের আর একটি কর্মীও আওয়ামী রাজনীতির বাইরে নেই।
রবিবার ( ৩১ জানুয়ারি) বিকালে ভাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ও ভাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু রেজা মোঃ ফয়েজ ও তার পরিষদের ১২ জন কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোবহান মুন্সির যোগদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সাংসদ নিক্সন চৌধুরী।
নিক্সন চৌধুরীর মতে, ‘এই আসনের সকলে আমার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করেছে। অতীতেও উক্ত আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসাবে পরিচিত ছিল এখনও এই আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাটিই রয়েছে। মাঝখানে জনগণ শুধু নৌকার মাঝি পরিবর্তন করে তাদের উন্নয়ন ও মূল্যায়ন ফিরে পেয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রী আমাকে সংগঠন চালানোর জন্য যে পদে অধিষ্ঠিত করেছে সেই একই পদে আপনিও রাজনীতি করছেন। তাহলে আর কেন হানাহানি মারামারি ? আসুন ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি।
সাংসদ নিক্সন চৌধুরী এসময় হাজারো জনতার উদ্দেশ্যে আরো বলেন, এতদিন ফরিদপুর-৪ আসনকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে রাখা হয়েছিল। আজ মেয়র মহোদয়ের যোগদানের মাধ্যমে একটি প্লাটফর্মে আওয়ামীলীগ দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মী আজ এক মঞ্চে উপস্থিত হয়েছে। সকলে মুখেই একটাই দাবি কাজী জাফরউল্লাহ আর আপনি অভিমান করে দুরে থাকবেন না। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করতে সকল কিছু ভুলে আসুন এক সাথেই পথ চলি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি পৌর মেয়র আবু রেজা মোঃ ফয়েজ বলেন, বঙ্গবন্ধুর দৈহিত্রকে আমরা কাছে পেয়েছি। তিনি ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি হওয়ার পর থেকে যেভাবে উন্নয়ন ও কর্মীদের মূল্যায়ন করেছেন তা প্রশংসার দাবিদার। তিনি পরীক্ষিত নেতা তার সাথে রাজনীতি করে দেশ ও দশের সত্যিকার উন্নয়ন সম্ভব। তাই আগামীতে তাকে নিয়েই রাজনীতি করে ভাঙ্গা পৌর সভার ব্যাপক উন্নয়ন করতে চাই।
যোগদান অনুষ্ঠানে কেন্দ্র করে দুপুর হতেই সভাস্থল ভাঙ্গা পৌরসভার পৌর ভরন চত্বরের সভামঞ্চের হাজারো নেতা-কর্মী জড়ো হতে থাকে। বিকালে সভাস্থলে সাংসদ নিক্সন চৌধুরী সভামঞ্চে আসন গ্রহণ করলে জনসভাটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। পৌর ভবন চত্বর ছাড়িয়ে তা হাই-ওয়ে এক্সপ্রেস পর্যন্ত জনতা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস, এম হাবিবুর রহমান, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, সদরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফি কাজী, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী হেদায়েতউল্লাহ সাকলাইন ও সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমান, জেলা পরিষদের প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান শাহিন, পৌর কাউন্সিলর ওমর ফারুক হবি, কাউন্সিলর বজলু মাতুব্বর, সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম মাতুব্বর, কাউন্সিলর ওমর খরাতি, ভাঙ্গা বাজার বনিক সমিতির সভাপতি শহিদুল হক মিরু মুন্সি ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আবু জাফর মুন্সি, ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।