আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৬:০০

ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে রাশিয়ার স্যাটেলাইট ধ্বংস, ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র

মহাকাশে রাশিয়ার অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল নিক্ষেপের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইলের পরীক্ষাকে ‘বিপজ্জনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করেছে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, রাশিয়ার অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল নিক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অবস্থানরত ক্রুদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, রাশিয়া তাদের একটি স্যাটেলাইটকে লক্ষ্য করে বেপরোয়াভাবে পরীক্ষামূলক মিসাইল ছুড়েছে। রাশিয়ার মিসাইল টেস্টের কারণে কক্ষপথে দৃশ্যমান ১৫০০ টুকরো বর্জ্য তৈরি করেছে। এছাড়া আরও হাজার-হাজার ক্ষুদ্র বর্জ্য তৈরি করেছে যার কারণে মহাকাশে সব দেশের স্বার্থকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।

রাশিয়ার অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইলটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪২০ কিলোমিটার উপরে আন্তর্জাতিক মহাকাশকাশ স্টেশন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।

এই মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ রাশিয়ার নিজস্ব একটি স্যাটেলাইটকে উড়িয়ে দিয়েছে এবং সেখান থেকে তৈরি বর্জ্যের কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের ক্রুরা স্টেশনের ভেতরে ক্যাপসুলে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে।

রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র রাসকোসমস এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সংস্থাটি টুইট করে বলছে, রাশিয়ার স্যাটেলাইট ধ্বংস হবার পর যেসব টুকরো বর্জ্য তৈরি হয়েছে সেগুলো দ্বারা অন্য কিছুর ক্ষতি হয়নি। তবে যে জায়গাটিতে এটি ঘটানো হয়েছে সেটি এখনও দেখা যাচ্ছে।

ভূ-পৃষ্ঠ থেকে স্যাটেলাইট ধ্বংস করার ক্ষমতা বেশ কিছু দেশের রয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন এবং ভারত অন্যতম। কিন্তু এ ধরনের মিসাইল নিক্ষেপের ঘটনা খুবই বিরল। কারণ এ ধরনের কর্মকাণ্ডে মহাকাশে মারাত্মক দূষণ হয়।

২০০৭ সালে চীন যখন তাদের একটি অকেজো আবহাওয়া স্যাটেলাইট ধ্বংস করেছিল, তখন দুই হাজারের বেশি দৃশ্যমান টুকরো হয়েছিল।

আরো সংবাদ