আজ - শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সকাল ৬:৫১

ঝিনাইদহে পাওনা টাকা চাওয়ায় দোকানিকে পিটিয়ে হ ত্যা।

পাওনা টাকায় চাওয়াকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহে মোহাম্মদ আলী নামে দোকানিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন স্বজনরা। সদর উপজেলার ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের উত্তর নারায়ণপুরে ত্রিমোহনী মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ঘটনার পরে মামলা নিতে সদর থানা পুলিশ টালবাহানা করছেন।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে সড়ক অবরোধ করে লাশ নিয়ে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। এসময় সড়কের দুইপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
র আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্থানীয় বাদপুকুর গ্রামের মুদি দোকানি মোহাম্মদ আলীকে (৬০) পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মোহাম্মদ আলী সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের বাদপুকুর গ্রামের মৃত কেনু মিয়ার ছেলে।

আটকরা হলেন— অভিযুক্ত আসাদুল ইসলাম (১৯), তার বাবা আশকর আলী (৬২) ও আশকর আলীর স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, সকালে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য আসাদুল ইসলামের কাছে যান মুদি দোকানি মোহাম্মদ আলী। ওই সময় আসাদুল ইসলাম (১৯), তার বাবা আশকর আলী (৬২), আশকর আলীর স্ত্রী মিলে মোহাম্মদ আলীকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে মোহাম্মদ আলী ডাক-চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় স্থানীয়রা এসে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মোহাম্মদ আলী। ঘটনার পর নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মোহাম্মদ আলীর ছেলে মশিয়ার রহমান বলেন, ঘটনার পরে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সদর থানা পুলিশ হত্যা মামলা নিতে গড়িমসি করছে। দুপুর থেকে মামলা দায়েরের চেষ্টা করলেও পুলিশ নানান অজুহাত দেখিয়ে মামলা নেয়নি। যে কারণে রাতেই লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হচ্ছে। আমরা এই হত্যা মামলার বিচার নিশ্চিত না করে ঘরে ফিরব না।
তিনি আরও বলেন, পাওনা টাকা চাইতে গেলে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা যেন মামলা না করি, তার জন্য নানান রকম চাপ দেওয়া হচ্ছে। থানায় গিয়ে মামলা দায়েরের চেষ্টা করলেও পুলিশ গড়িমসি করে মামলা নেয়না।ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা না নেওয়ার কোনো কারণ নেই। তারা মামলা নিয়ে এলে এজাহার সংশোধন করতে বলা হয়েছে। এরপর আর তারা আসেনি। তার পরও আমরা মামলা নিয়েছি।
লাশ নিয়ে সড়ক আটকে বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, বিক্ষোভ কেন করছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলা না নেওয়ার মতো কিছু নেই। অবশ্যই মামলা নেবে পুলিশ। তারপরও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত