আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৮:০২

নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে আপিলের আদেশ মঙ্গলবার

সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে গঠিত নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ বাস্তবায়নে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ সোমবার শুনানি শেষে আদেশের এই দিন ধার্য করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। অন্যদিকে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ আলী।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘সরকার হলো আম্পায়ারের মতো। সাংবাদিক ও মালিক উভয়পক্ষের স্বার্থই সরকার দেখবে।’

গত ২৫ জুলাই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ চূড়ান্ত হয়েছে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন করলে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। এরই একপর্যায়ে গত ৫ আগস্ট নতুন বেতন কাঠামোর সুপারিশ চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। পরদিন ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ বাস্তবায়নে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশে দুই মাসের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুলও জারি করা হয়।

রুলে শ্রম আইনের ১২৮ বিধি অনুযায়ী ‘অংশীজনের (মালিক) আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ না দিয়ে একতরফাভাবে’ নবম ওয়েজ বোর্ডের চূড়ান্তকরণ এবং গেজেট জারির সুপারিশ করে তা সরকারের কছে পাঠানো কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না– তা জানতে চাওয়া হয়। পরে হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে তথ্যসচিব, শ্রমসচিব, নবম ওয়েজ বোর্ডের চেয়ারম্যান, মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়কের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৮ আগস্ট আবেদন করা হয়। এরপর ১৪ আগস্ট ওই আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতির আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার শুনানি গ্রহণের পর আদেশের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

আরো সংবাদ