আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৬:৫৯

নলডাঙ্গা থানায় কথিত সাংবাদিক মামুনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

নাটোরের নলডাঙ্গা থানায় কথিত সাংবাদিক মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে ৯২ হাজার টাকা চাঁদাবাজির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে স্থানীয় ডিএফ ডাঃ মাসুদ রানা।

উপজেলার বিলপাড়া গ্রামের মৃত ডাঃ রেজাউল করিমের ছেলে বাদী ডাঃ মাসুদ রানার শাশুড়ীর একটি পুরানো পুকুর সংস্কার করার অনুমতির জন্য ঘুষ হিসেবে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৭৫ হাজার টাকা নলডাঙ্গা ইউএনও ,থানার ওসি ও উপজেলা ভূমি কমিশনার কার্যালয়ে দেওয়ার কথা বলে চাঁদা নিয়েছে।

এছাড়া নিজের জন্য ১৫ হাজার টাকা ও দুই সাংবাদিক কে ২ হাজার টাকাসহ মোট ৯২ হাজার টাকা চাদা নিয়েছে।

এ অভিযোগ এনে রোববার দুপুরে নলডাঙ্গা থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে। কথিত সাংবাদি মামুনুর রশিদ খোলাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে।

নলডাঙ্গা থানায় দায়ের করা এহাজার সূত্রে জানা যায়, গত চলতি বছরের ২৭ ফেব্রায়ারি উপজেলার বিলপাড়া গ্রামের ডাঃ মাসুদ রানা তার শাশুড়ী জুলেখা বেগমের একটি পুরানো পুকুর সংস্কারের জন্য কথিত সাংবাদিক মামুনুর রশিদের সাথে যোগাযোগ করেন। কথিত সাংবাদিক মামুনুর রশিদ নলডাঙ্গা থানা পুলিশ,ইউএনও ও উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনারের কাছ থেকে অনুমতির নিয়ে দিবে বলে ২৫ হাজার টাকা করে তিন প্রশাসনিক কর্মকর্তার জন্য মোট ৭৫ হাজার টাকা বাদী ডাঃ মাসুদ রানার কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। এছাড়া নিজের জন্য ১৫ হাজার টাকা ও দুই সাংবাদিক কে ২ হাজার টাকাসহ মোট ৯২ হাজার টাকা চাদা নিয়েছে।

তিনি নলডাঙ্গা সাংবাদিক ফোরাম অফিসে বসে এসব চাঁদার টাকা আদায় করেন।পরে বাদীর ডাঃ মাসুদ রানার শাশুড়ী পুরানো পুকুর সংস্কারের জন্য ভাড়া করা ভেকু দিয়ে কাজ শুরু করে।কাজ শুরুর পরপরই থানা পুলিশ গিয়ে ভেকুর চাবী কেড়ে নিয়ে পুকুর সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দেয়।পরে বাদী কথিত সাংবাদিক মামুনুর রশিদের কাছে চাঁদার টাকা ফেরত চাইলে প্রথম বার ১০ হাজার টাকা এর কয়েকদিন পর আরোও ৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়। বাকী টাকা ফেরত চাইলে খরচ হয়েছে বলে বিভিন্ন ভাবে বাদী ডাঃ মাসুদ রানার হাত পা ভেঙ্গে গুম করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় রোববার (৯ মে) ডাঃ মাসুদ রানা বাদী হয়ে কথিত সাংবাদিক মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে ৯২ হাজার টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে নলডাঙ্গা থানায় এজাহার দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান,এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তবে এখনও অভিযোগটি নথিভুক্ত হয়নি।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত