আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৮:৫৩

পদ্মা নদীর ড্রেজিং ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্প পরিদর্শন করলেন সেনাবাহিনী প্রধান

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার মাঝিরচর থেকে নারিশা বাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ  উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এমপি  এবং সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য বক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সেনাবাহিনী প্রধান প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশে পদ্মা সেতুর উজানে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার মাঝিরচর থেকে নারিশা বাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড এর অধীনস্ত ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনে রূপকল্প-২০৪১ অনুযায়ী শিল্পায়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে বর্তমান সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার দোহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলে শিল্পায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকারের। তবে, এই বিপুল সম্ভাবনার পথে হুমকি প্রমত্তা পদ্মার ভাঙ্গন।
প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর একনেকে অনুমোদিত হলে ২০১৯ সালের  এপ্রিলে ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে। প্রকল্পের মূল কাজ দুইটি: দোহারে পদ্মা নদীর বাম তীর ঘেঁষে ৬ কিঃমিঃ বাঁধ প্রতিরক্ষা এবং ১২.২০ কিঃ মিঃ ড্রেজিং। এরই মধ্যে অতি অল্পসময়েই ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যদের নিরলস প্রচেষ্টায় ৬ কিঃ মিঃ এলাকায় জিওব্যাগ ডাম্পিং ও প্লেসিং এর মাধ্যমে দোহার এলাকাকে পদ্মার ভাঙ্গন হতে রক্ষা করা হয়েছে। সেই সাথে ৬ কিঃ মিঃ স্থায়ী বাঁধ প্রতিরক্ষা কাজের ৩.৪৮ কিঃ মিঃ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং অবিশিষ্ট ২.৫২ কিঃমিঃ স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ চলমান রয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দোহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পথ সুগম হবে এবং এই অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত