আজ - রবিবার, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৭:১৩

পাগলা শাহীন সম্রাজ্যের সেকেন্ড হোম মণিরামপুর – পৃষ্ঠপোষক লাভলু!

মুনতাসির মামুন, মণিরামপুর থেকে ফিরেঃ সদর উপজেলা আ’লীগ সম্পাদক আলমগীর হত্যার পর মণিরামপুরে গা ঢাকা দেন রাজারহাটের পাগলা শাহিন।

সে সময় শেল্টার পান মণিরামপুর উপজেলার নাদরা গ্রামের মৃত আফছার গাজীর ছেলে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ, লেবুগাতি গ্রামের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী স্বপন (পিতা অজ্ঞাত) ফুলিবাসা গ্রামের নিজাম মিস্ত্রির ছেলে তৌহিদ গং এর কাছে।

উপজেলার নাদরা গ্রামে ভগ্নিপতি আবু তালেবের বাড়িতে আত্মগোপনের সুবাদে সেখানেও গড়ে তোলেন মাদক সম্রাজ্য অস্ত্রের ঝনঝন শব্দে ভারী করে তোলেন এলাকার পরিবেশ। মোবাইল ফোনের মত অস্ত্র হাতে ঘুরতেন সব সময়। প্রতিবাদ করেছিলো কাশিমনগর ইউপি সদস্য খুজালিপুর গ্রামের আনিচুর, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলের মুখের মধ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে ফুলস্টপ সংকেত দেন শাহিন। ভয়ে চুপ হয়ে গেছেন আনিচুর।

গতমাসে লেবুগাতি ব্রীজের উপর থেকে নাদড়া গ্রামের হানিফার ছেলে মিজান, আবু তালেবের ছেলে সবুজ (শাহিনের ভাগ্নে) মনিরের নাতি তোসির ওরফে ডিজে তাসকিন, সহ বেশ কয়েকজন মিলে ইত্তা গ্রামের মৃত হেদায়েত উল্ল্যার ছেলে খলিলের বাজাজ প্লাটিনাম (ব্লু কালার) মটর সাইকেলটি কেড়ে নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নিলে হত্যার হুমকি দেয়। মটর সাইকেলটি এখন ব্যবহার করে ছিনতাই কারীদের ই একজন।

ইত্তা গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে জিনারুল ওরফে জিনা, গয়েসপুরের তসলিমের ছেলে রিপন, ছাত্তারের ছেলে শয়ন, সিংগের ফজর আলির ছেলে হাসান ওরফে কসাই হাসান (সিরাজ চেয়ারম্যান হত্যার আসামি)। পাগলা শাহিনের একান্ত বিশস্ত সহযোগী ছিলো।

মামা ভাগ্নে প্রতি রাতে নারী ছাড়া রাত কাঁটাতেন না। প্রায়ই পাগলা শাহিন তার ভাগ্নে সবুজ ও সহচর নাদড়া গ্রামের শহিদুলের ছেলে শামিম নতুন নতুন মেয়ে নিয়ে রাত্রি যাপন করতেন। অনেকটা রাজকীয় স্ট্যাইলে চলছিলো শাহিনের দিনকাল।

এছাড়া একাধিক গৃহবধূও ধর্ষনের অভিযোগ আছে শাহিনের বিরূদ্ধে।

যে মঙ্গলবারের পর শাহিনের জীবনে আর মঙ্গলবার আসেনি সে রাতেও শহিদুলের ছেলে শামিমের সাথে নারী সহ রাত্রী যাপন করছিলেন। সেখান থেকে সাদা পোশাকে কে বা কারা পাগলা শাহিনকে আটক করে নিয়ে যায়।

সব সময় ১৪ জনের একটি সন্ত্রাসি বহর নিয়ে চলতো শাহিন অস্ত্রের সংখ্যা থাকতো ১১ টি।
শাহিনের আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদ যেন মণিরামপুরে না বলে আসা বৃষ্টির মত শস্তি বয়ে এনেছে। মসজিদে মসজিদে নফল শুকরিয়া নামাজ ও আদায় করেছে এলাকাবাসী।

পাগলা শাহীন ও আমজাদ হোসেন লাভলু।

তবে আতঙ্ক কাটেনি এখনো। উপজেলার নাদরা গ্রামের মৃত আফছার গাজীর ছেলে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ, লেবুগাতি গ্রামের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী স্বপন (পিতা অজ্ঞাত) ফুলিবাসা গ্রামের নিজাম মিস্ত্রির ছেলে তৌহিদ,
সিংগের ফজর আলির ছেলে হাসান ওরফে কসাই হাসান (সিরাজ চেয়ারম্যান হত্যার আসামি)। এদের যদি এখনি থামানো না যায় তবে ফের দূর্ঘটনার সম্ভাবনা আছে বলে জানান এলাকাবাসী। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল মজিদ কবিরাজ কে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে নূর মোহাম্মদ ও স্বপন। তারা সন্দেহ করত মজিদ কবিরাজ ইনফর্মেশান দিয়ে পাগলা শাহিনকে ধরিয়ে দিয়েছে।

উল্লেখিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা একটা সময় সাবেক সাংসদ টিপু সুলতানের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলো। বর্তমানে তাদের পৃষ্ঠপোষক মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু।

মনিরামপুর থানা পুলিশের উদাসিনতা তাদের দারুন মর্মাহত করে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

প্রথম পর্বটি পুণরায় পড়তে এখানে ক্লিক করুন…

আরো সংবাদ