বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে আরেকটি নতুন রেকর্ড হয়েছে। রেমিট্যান্সের জোয়ারে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন বা চার হাজার ৪০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
বুধবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৪ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার। এ পরিমাণ অর্থ দিয়ে প্রায় ১০ মাসের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব।
সাধারণভাবে কোনো দেশে ৬ মাসের আমদানি দায় মেটানোর মতো রিজার্ভ থাকলে সেটিকে আপৎকালীন দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য যথেষ্ট মনে করা হয়।
করোনা মহামারি শুরুর পর যত দ্রুত রিজার্ভ বাড়ছে এর আগে কখনো এমন হয়নি। মূলত বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে গত মার্চের পর এক বছরের কম সময়ে রিজার্ভে যোগ হয়েছে ১২ বিলিয়ন ডলার।
গত মার্চ শেষে (করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর মাস) রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। এরপর প্রতি মাসে হুহু করে বেড়ে এ পর্যায়ে এসেছে। রিজার্ভে ৪৩ বিলিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে গত ৩০ ডিসেম্বর। আর ৪২ বিলিয়নের ঘর অতিক্রম করেছিল ১৫ ডিসেম্বর। এর আগে ৪০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছিল গত ৮ অক্টোবর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৯ কোটি ডলার। আগের বছরের ফেব্রুয়ারির একই সময়ে এসেছিল ১২৪ কোটি ডলার। এ হিসেবে ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ২৫ কোটি ডলার বা ২০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের ৭ মাসে প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৪৯১ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল এক হাজার ১০৫ কোটি ডলার। এর মানে ৭ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৮৬ কোটি ডলার বা ৩৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গত অর্থবছর রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ মাসে আমদানি কমেছে ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর জানুয়ারি পর্যন্ত রপ্তানি কমেছে ১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমদানি ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমেছিল।