আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৬:০৮

ভারতকে বাংলাদেশের রেমডিসিভির হস্তান্তর

খানজাহান আলী 24/7 নিউজঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের জন্য রেমডিসিভির ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ করোনাভাইরাস রোগীদের ক্ষেত্রে এই রেমডেসিভির ওষুধ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি ভারতে করোনাভাইরাস মহামারী রূপ ধারণ করায় সেদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা মারাত্মক  বিপর্যয় ঘটে। ভারতে  করোনা রোগীদের জন্য ব্যবহার করা রেমডিসিভির চরম সংকট দেখা দেয়। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করেছিল ভারতকে রেমডেসিভির ঔষধ উপহার দেয়া হবে। একপর্যায়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি ট্রাকেকের মাধ্যমে ৩৩৪ প্যাকেজ রেমডেসিভির ওষুধ বেনাপোল দিয়ে সেদেশের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কাছে হস্তান্তর করেছেন বাংলাদেশ সরকার।

বেনাপোল কাস্টম সূত্র থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের মিনিস্ট্রি অফ ফরেন্স, সেগুনবাগিচা ঢাকার পক্ষ থেকে ৩৩৪ প্যাকেজ রেমডিসিভির ইনজেকশন রপ্তানি করেছে ভারতের নিউ দিল্লির রেডক্রস সোসাইটির কাছে। যাহার ইনভয়েস মূল্য ১০ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ৮ লাখ ৯১ হাজার ৯৭৫ টাকা। বেনাপোল কাস্টমস সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন বেনাপোলে রবি ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট।

রবি ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রবিউল ইসলাম বলেন, দুপুরে একটি ট্রাকে করে ভারতীয় করোনা রোগীর জন্য  এক ট্রাক অর্থাৎ ৩৩৪ প্যাকেজ রেমডিসিভির ওষুধ বেনাপোল পৌঁছালে কাস্টমসের যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদন করে সেগুলো ভারতের পেট্রোল বন্দরে পাঠানো হয়েছে।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক রেমডিসিভির প্রথম চালানটি বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপলে বন্দরে পৌঁছায়। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ হওয়ায় তা দ্রুত কাস্টমসের কার্যাবলী সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী চালান বেনাপোল বন্দরে পৌঁছালে তা দ্রুত কাস্টমসের কার্যাবলী সম্পাদনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশেও ওষুধটি উৎপাদন হয়। এবার সেই রেমিডিসিভিরের রপ্তানি শুরু করেছে দেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (বিপিএল)। ইঞ্জেকশন আকারে প্রস্তুতকৃত বেমসিভির ইতিমধ্যে অনেক দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

জানা যায়, প্রস্তুতকৃত প্রতিটি ইঞ্জেকশনের মূল্য ধরা হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকার । একজন করোনা রোগীকে গড়ে ৬ থেকে ১১টি ইঞ্জেকশন দিতে হয়।

রেমিডিসিভির মূলত তৈরি করে মার্কিন ওষুধ কোম্পানি গিলিয়াড সায়েন্সেস। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ অধিদপ্তর এর অনুমোদন দেয়ার পরই বেক্সিমকো এর উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ওপর প্রথম ‘কার্যকর’ ওষুধ এটি। তবে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় এই রেমিডিসিভির ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করছে সরকার৷

খানজাহান আলী 24/7 নিউজ / ন

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত