দেশের আকাশে আজ কোথাও ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামীকাল ২ মে সোমবার পবিত্র রমজান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী ৩ মে মঙ্গলবার সারাদেশে পবত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
আজ সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহেনুর মিয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুনিম হাসান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. ছাইফুল ইসলাম, ওয়াকফ প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন, ঢাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী হাফিজুল আমিন, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. সিরাজুল হক ভূইয়া, সরকারী মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মো. আলমগীর রহমান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ও চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্ণর্সের গভর্ণর ড. মুহাম্মদ কাফিলুদ্দীন সরকার।
সভায় ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায়, আগামীকাল ২ মে সোমবার পবিত্র রমজান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আগামী ৩ মে মঙ্গলবার থেকে ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাস গণনা শুরু হবে। ফলে আগামী ৩ মে মঙ্গলবার সারাদেশে পবত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন আজ বাসস’কে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ২৯ রমজানে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে পরদিন ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। কিন্তু এদিন চাঁদ দেখা না গেলে রোজা ৩০টি পালন করতে হয় এবং ৩০ রোজার পরদিন ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়। এজন্য সোমবার আর চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকের প্রয়োজন হবে না বলে তিনি জানান।
মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গত দুই বছর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত না হলেও এবার এখানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। শত বছরের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানের ঈদ জামাতও এবার অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে- সকাল ৭টায়, এরপর পর্যায়ক্রমে ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে শেষ ঈদ জামাত।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমানের ইমামতিতে প্রথম জামাত সকাল ৭টা অনুষ্ঠিত হবে। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. ইসহাক।
বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী’র ইমামতিতে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা অনুষ্ঠিত হবে। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারীর ইমামতিতে তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম হাফেয মো. নাছির উল্লাহ।
বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হকের ইমামতিতে চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মোঃ শহিদ উল্লাহ।
বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহিউদ্দিন কাসেমের ইমামতিতে পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।
উপরে উল্লেখিত ৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতী মাওলানা মো. আব্দুল্লাহ।