আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৪:৩৪

মেহেরপুরে পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

মেহেরপুর জেলায় পুলিশ কনস্টেবল আলাউদ্দিন হত্যার অভিযোগে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। সেই সাথে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদ-দেশ দিয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বালিদাপাড়া গ্রামের কালু ম-লের ছেলে আনিস মন্ডল, একই গ্রামের আব্দুল মালেক ম-লের ছেলে তাহাজুত হোসেন, সোনাউল্লাহর ছেলে শাকিল হোসেন ও রুবেল হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের মেহেরপুরের অতিরিক্ত জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে- ২০১৫ সালের ২৪ জুলাই মেহেপুরের গাংনী উপজেলার পিরতলা আইসি ক্যাম্পের এস আই সুবীর রায়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বামুন্দি-কাজিপুর এলাকায় টহলরত অবস্থায় গোপন সূত্রে খবর পান মাইক্রোযোগ মাদকদ্রব্য পাচার করা হবে। এসময় পীরতলা সাহেবনগর নামক নামক স্থানে অবস্থান নিয়ে মাইক্রোবাসটিকে আটকানোর জন্য রাস্তার উপরে কাঠের গুড়ি ফেলে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। মাইক্রোবাসটি কাছাকাছি এসে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গাছের গুড়ির পাশ কাটিয়ে মাইক্রো চালক পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ কনেস্টবল আলাউদ্দিনকে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে মাইক্রোর বাম্পার এর উপরে আটকে যান। এসময় পুলিশ কনস্টেবল আলাউদ্দিনকে টেনেহিঁচড়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে নিয়ে হাড়াভাঙ্গা ডিএইচসিপি আর ফাজিল মাদ্রাসার সামনে স্পিড ব্রেকার এর নিকট কনস্টেবল আলাউদ্দিন ছিটকে পড়েন।
পরে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়ায় জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে কনস্টেবল আলাউদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনাস্থল থেকে দুই বস্তায় মোট ৩৪০ বোতলফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। এবং কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বালিদাাপাড়া গ্রাম থেকে কুষ্টিয়া-চ ০২-০০১১ নাম্বারের একটি মাইক্রো উদ্ধার করেন।
ওই ঘটনায় এসআই সুবীর রায় বাদী হয়ে গাংনী থানায় আনিস মন্ডল, তাহাজুত হোসেন, শাকিল হোসেন এবং রুবেল হোসেন নামের চার ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা এবং মাদকদ্রব্য আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। যার সেশন মামলা নং১৩৪/২০১৬। জি আর কেস নং২২০/১৫। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
হত্যা মামলায় মোট ১৬ জন সাক্ষীদের সাক্ষ্যে আনিস মন্ডল, তাহাজুত হোসেন, শাকিল হোসেন এবং রুবেল হোসেন দোষী প্রমাণিত হয় তাদের যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেয় আদালত। এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদ-দেশ দেয়া হয়। অপরদিকে ফেনসিডিল রাখার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাদকদ্রব্য মামলায় আনিস মন্ডল, তাহাজুত হোসেন, শাকিল হোসেন এবং রুবেল হোসেনকে ৭ বছর করে কারাদ-াদেশ।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি কাজি শহীদ এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আহসানুল আলম খোকন ও কামরুল হাসান কৌশলী ছিলেন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত