আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১১:০৯

যশোরে লকডাউন নয়, স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর

যশোর জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। এজন্য আপাতত লকডাউন নয় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে জোর দিচ্ছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি।

বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেছেন,   লকডাউন নয়, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করা ও করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলায় করোনা সংক্রমণ একটু বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক; কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। যশোরে করোনা প্রতিরোধ কমিটি প্রতিনিয়ত এসব বিষয়ে আলোচনা করছে।

তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে যেসব স্বাস্থ্যবিধি আরোপিত আছে, তা আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে এবং জনসচেতনতায় আরও বেশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এখনই নয়, পরিস্থিতি আরও পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজন হলে লকডাউনের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
 
লিখিত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান জানান, সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যশোর জেলার চ্যালেঞ্জ বহুমুখী। ভারতে করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে মারাত্মক ভারতীয় ধরন আবিষ্কৃত হয়। এর ফলে বাংলাদেশ সরকার ভারতের সীমান্তে যাত্রীদের আগমন ও বহির্গমন বন্ধ করে দেয়। এতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক আটকা পড়েন ভারতে।

তিনি বলেন, দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও কলকাতায় উপ-হাইকমিশন থেকে বিশেষ অনুমতিক্রমে আটকে পড়া যাত্রীদের দেশে ফেরার জন্য যশোর বেনাপোল স্থলবন্দর উন্মুক্ত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ এপ্রিল ছয়জন বাংলাদেশি যাত্রী বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে জেলা প্রশাসন তাদের গ্রহণ করে। শুরু হয় যশোর জেলায় ভারতীয় যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন; যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।

সভায় সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, সীমান্তবর্তী জেলা যশোরে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর, বিমানবন্দর, রেল জংশন আছে। সড়ক যোগাযোগে বহু জেলার সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে যশোর। সেক্ষেত্রে করোনাসহ যে কোনো নতুন রোগ সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই জেলা ঝুঁকিপূর্ণ। ২০২০ সালে প্রতিদিন গড়ে ১০০ জন সংক্রমিতও হয়েছে। কিন্তু এ বছরের এপ্রিলে সংক্রমণের হার ছিল ২৫ শতাংশ, মে মাসে ১৮ শতাংশ আর জুন মাসের এই তিন দিনের প্রথম দিনে ২৮-২৯ শতাংশ, দ্বিতীয় দিনে ২৩ শতাংশ এবং আজকে ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

তিনি বলেন, ভারত ফেরত কোয়ারেন্টিন শেষ করা যাত্রীদের মধ্যে সংক্রমণের হার খুবই নগণ্য। আজ ১০০ জনের পরীক্ষা করে দুইজনের পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। আমরা এসব বিষয় পর্যবেক্ষণে রেখেছি; তবে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। সভায় অন্যদের মধ্যে- যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ আলোচনা করেন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত