আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১০:১৮

যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক শহীদের ভাই সাজ্জাদ জাল স্ট্যাম্প,পরচা সহ গ্রেফতার ;১ মাসের জেল

নিজেস্ব প্রতিবেদক: যশোর শহরের মোমিন নগর মার্কেট এর সজিব এন্টারপ্রাইজ এর মালিক সাজ্জাদুর রহমানকে জমির নকল পরচা তৈরীর সময় হাতেনাতে ধরেছে ভ্রাম্যমান আদালত। সাজ্জাদুর রহমান যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক শহীদুজ্জামান শহীদের ভাই। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত সাজ্জাদকে এক মাসের বিনাশ্রম কর্মকাণ্ড প্রদান শেষে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।

পেশকার জালাল উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, আজ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণচন্দ্রের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত মোমিন নগর মার্কেটে অবস্থিত ফটোকপির দোকান সজিব এন্টারপ্রাইজে অভিযান চালান। সেখানকার একটি কম্পিউটার সার্চ করে জমির নকল আরএস পর্চা তৈরীর প্রমাণ পান।  টাকার বিনিময়ে এ জাল পর্চা সরবরাহ করে লোকজনকে ঠকানো হচ্ছিল। এছাড়া সেখানে নানা সরকারি দপ্তরের গোপন কাগজপত্র ছিল, বিশেষ করে রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা, রেকর্ড কিপার, বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তার জাল সিল উদ্ধার করা হয়। এসময় জমির জাল আরএস পরচা তৈরীর কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটারটি জব্দ করে আদালত। হাতেনাতে ধরা পড়া দোকান মালিক ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত শাহাদাত হোসেনের ছেলে সাজ্জাদুর রহমান ও কর্মচারী ফতেপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম। এতে দোকান মালিক সাজ্জাদুর রহমান কে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও কর্মচারী মনিরুল ইসলাম কে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও দু’শ  টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর ও দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, যশোর জেলা বঙ্গবন্ধু ছাত্রপরিষদের সাধারন সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রাসেল হত্যার প্রধান আসামি যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক কুখ্যাত মাদক সম্রাট শহীদুজ্জামান শহীদের ইন্দোনে এ ব্যবসাটি পরিচালিত হতো। এর আগেও শহীদ নিজ সিন্ডিকেট দিয়ে হত্যা সহ মাদক গং পরিচালনা করে নিজেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী বলে প্রমান করেছে। যুবলীগের এই নেতার মূল রোজগারের মাধ্যম মাদক এবং নিজ ভাইকে দিয়ে পরিচালিত এই সজিব এন্টারপ্রাইজ। এর আগে একাধিক বার শহীদুজ্জামান শহীদের বিরূদ্ধে এখতিয়ার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড ও দলের সম্মানহানীর অভিযোগ এনে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন আরবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ইউনিটের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী।

মোমিন নগরস্থ স্থাণীয়রা বলছেন, ভ্রাম্যমান আদালতের বিশেষ অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন কথিত যুবলীগের সেই নেতা শহীদ। এরপর ভ্রম্যমান আদালতকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেও কোন ফল হয়নি। পরে ভ্রাম্যমান আদালত সাজ্জাদকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

সম্প্রতি সাজ্জাদ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে সাজ্জাদ কাউকে পরোয়া করেনা। ভাই শহীদের পরামর্শে গত কয়েক বছরে মোটা টাকার মালিক বনে যাওয়ায় চাটুকারি পথ বেছে নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি সাজ্জাদের।

একের পর এক শহীদের নেতৃত্বে খুন, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী হামলা, মাদক কারবারি ও নতুন করে সজিব এন্টারপ্রাইজ ইস্যুতে স্থানীয়রা শহীদ হটাও মানুসিকতা নিয়ে সাজ্জাদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে আনন্দ উল্লাস করেছে। একই সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণচন্দ্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

আরো সংবাদ