রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে মঞ্চকে টার্গেট করে গ্রেনেড ছুঁড়েছিলেন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইকবাল। সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিং এ কথা বলেন র্যাব পরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এর আগে রাজধানীর দিয়াবাড়ি থেকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি ইকবালকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, ইকবাল ১৯৯৫ হতে ১৯৯৮ পর্যন্ত মালয়শিয়ায় কাজ করেছেন। দেশে ফিরে এসে তিনি আইএসডি ফোন ও অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করেন। ২০০১ সালে তিনি ঝিনাইদহের স্থানীয় এক জঙ্গি সদস্যদের মাধ্যমে হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশে (হুজিবি) যোগ দেন। ২০০৩ সালে মুফতি হান্নান ও অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের সান্নিধ্যে চলে আসেন। ২০০৪ সালে আগস্টে মুফতি হান্নানের নির্দেশে ঢাকায় চলে আসেন এবং গোপন আস্তানা গড়েন।
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল জানান, মুফতি হান্নানের নির্দেশে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। মুফতি হান্নান হামলা পরিচালনার জন্য তাকে গ্রেনেড দিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, হামলা চলাকালীন সময়ে সে মঞ্চকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুঁড়েছিলেন। ঘটনার পর তিনি ঝিনাইদহে পালিয়ে যান।
২০০৮ সালে জঙ্গি ইকবালকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহে অভিযান পরিচালনা করে ধরতে পারেনি র্যাব। এরপর ইকবাল ২০০৮ সালে দেশ ত্যাগ করেন। সেখানে তিনি অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত হলে ২০২০ সালের শেষ দিকে দেশে আসেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ’ নেতাকর্মী। তাদের অনেকে আজও শরীরে গ্রেনেডের স্প্রিন্টার নিয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছেন।