আজ - শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সন্ধ্যা ৬:১৯

মনিরামপুর হাজরাকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ।

মুনতাছির মামুন : যশোর মনিরামপুর উপজেলাধীন হাজরাকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক নির্বাচনে এলাকার সজ্জন শিক্ষিত মেধাবী ছাত্রনেতা বর্তমান ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন সানা একটি প্যানেল দেন।

অপর দিকে হাজরাকাটি গ্রামের বহুল আলোচিত জুয়ার বোর্ডের মালিক বেলতলা বাজারের চুরির দায়ে অভিযুক্ত আবুল হাসান একটি প্যানেল দেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা এম এ গফুর এর বন্ধু আব্দুর রহমান। তিনি আবুল হাসানের সাথে  বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জেরে হাসানের পক্ষে কাজ করেন এই প্রধান শিক্ষক পাশাপাশি বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক দেরকেউ জুয়াড়ি ও মাদক কারবারি হাসানের পক্ষে নামিয়ে দেন।

অধিকাংশ অভিভাবকদের সমর্থন না থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকদের চাপের মুখে  দিক ভ্রান্ত হয়ে ভোটে হাসানকেই বেছে নেই। ইতিপূর্বে হাসান কয়েকজন শিক্ষককে বিভিন্ন কারণে অপমান অপদস্ত ও মারপিট করেছে স্কুলে চাদা চেয়ে তালাও ঝুলিয়েছে।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসানের শিক্ষক হয়রানী ও বিদ্যালয়ে তালা ঝুলানোর কথা ভুলে ৫০০০০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকার বিনিময়ে হাসানের পক্ষে নামেন।

কমিটি গঠনের পরে স্কুলের দপ্তরি মোকছেদ আলীকে চাকরিতে থেকে অব্যহতি দিয়ে তার ছেলে কে ৬০০০০০ (ছয় লক্ষ) টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিতে প্রতিশ্রুতি দেয় স্কুলের সভাপতি হাসান ও প্রধান শিক্ষক। গোপনে নিয়োগের ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রধান শিক্ষক হজ্জ পালনে যান। ইতিমধ্যে সভাপতি হাসান সব জেনে মোকছেদ আলীর ছেলেকে চাকরি দিতে অগ্রিম ৫ লাখ টাকা চান। প্রধান শিক্ষক বাধ সাধেন।

হাসান এলাকার সন্ত্রাসী ১৩ নাশকতা মামলার আসামী বিএনপি সভাপতি আকছেদ বিশ্বাসের ছেলেকে নিয়োগের জন্য ১২ লাখ টাকায় চুক্তি করে ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নেন। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক দুই জনের নিকট থেকে টাকা নেবার ফলে শুরু হয় দ্বন্দ। অভিযোগ আছে প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠান এর নামের জমি স্বনামে রেকর্ড করেন এবং  প্রতিষ্ঠানের  জমির গাছ ও ফসল নিজেই ভোগ করেন।

গত আগস্টের  ১০ তারিখে সভাপতি ও অভিভাবক সদস্যরা সবকিছু জেনে প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত ভাবে স্কুলের সকল কাগজ পত্র চান  এবং তা ৭ দিনের মধ্যে দেবার জন্য বলেন। প্রধান শিক্ষক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাগজপত্রাদী প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় আবারও সভাপতি হাসান ও অভিভাবক সদস্যদের কাছে আবারও কিছুদিন সময় চেয়ে নেন ঐ প্রধান শিক্ষক।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ (সোমবার)  স্কুল চলাকালীন সময় সভাপতি এবং অভিভাবক সদস্যরা স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান এর নিকট স্কুলের সকল কাগজ ও দলিল চাইলে তিনি তা দিয়ে অস্বীকার করেন।

তখন সভাপতি হাসান প্রধান শিক্ষক কে মারতে উদ্ধত হন এবং বলেন হারাম টাকায় হজ্জ করে এসে আবার হারাম খাবেন তখন প্রধান শিক্ষক এর ভাইপো (একই স্কুলের কেরানী) আজিজুর হাসান কে মারতে যান।

 হাসান অবস্থা বেগতিক দেখে প্রধান শিক্ষক ও অন্য শিক্ষক এর কাছে মাফ চান। হাসানের সংগীয় অভিভাবক সদস্য বিএনপি ক্যাডার ইউনিয়ন যুবদলের নেতা আফসার আলী প্রধান শিক্ষক কে চেয়ার তুলে মারতে যান তখন অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারীরা হাসান আফসার আলী ও অন্য অভিভাবক তজিবার কে ব্যাপক মারপিট করেন লাইব্রেরিতে ফেলে তখন স্কুলের ছাত্ররা এসে থামিয়ে দেন।

সভাপতি হাসান ও বিএনপি নেতা আফসার স্কুল থেকে পালিয়ে আসেন। এই নিয়ে এলাকায় থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের কিছু ঘটতে পারে। সভাপতি হাসান বিএনপি নেতা গফুরের নির্দেশে ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান ও কেরানী আজিজুর রহমান কে সাসপেন করার বিষয়ে আফসারের আড়ৎ এ সোমবারে রাতে অন্য সকল অভিভাবক সদস্য দের নিয়ে মিটিং করেছেন।

আরো সংবাদ