দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে নানা অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করলেও চুপিসারে সস্ত্রীক করোনার টিকা নিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।জানা গেছে, শুধু যে তিনিই আর তার স্ত্রীই টিকা নিয়েছেন তা নয় তাদের ব্যক্তিগত গাড়িচালক হেলাল উদ্দিনও সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত করোনার টিকা নিয়েছেন।
সোমবার রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে টিকা নেয়ার সময় বিষয়টি গণমাধ্যমের দৃষ্টিগোচর হয়।যার ফলশ্রুতিতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান সোমবার রাতে গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য স্বীকার করেন।অথচ কিছুদিন আগেও প্রকাশ্যে তিনি বলেছিলেন, টিকা নিয়ে সরকারের কোনো রোডম্যাপ নেই। আমরা যারা সাধারণ মানুষ আমরা কখন পাবো, না পাবো তার কোনো নিশ্চয়তা এখানে নাই।তিনি আরো বলেছিলেন, ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষগুলো পাবে কি-না তারও কোনো রোডম্যাপ নাই, কোনো প্ল্যানিং নাই।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, উচ্চপর্যায়ের মানুষদের জন্য এরই মধ্যে তালিকা প্রস্তুত হয়ে গেছে। আমরা খবর পেয়েছি যে, গুলশান ক্লাব, ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব এ সমস্ত ক্লাবগুলোতে যারা সদস্য আছেন তাদের তালিকা করা হচ্ছে। আরো শুনতে পারছি যে, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যারা আছেন তাদের জন্য করা হচ্ছে, মন্ত্রীদের জন্য করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ টিকা পাবে কি-না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।এছাড়াও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেই দিয়েছিলেন যে, ভারতের টিকায় তাদের আস্থা নাই। আর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে আগে টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীঅথচ এখন প্রধানমন্ত্রী টিকা নেয়ার আগেই চুপিসারে নিজে স্ত্রীসহ টিকা গ্রহণ করলেন মির্জা ফখরুল।এর আগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকসহ বিএনপির একাধিক নেতা ভারতের সেরামে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা নেন।