আজ - শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সন্ধ্যা ৬:৫৯

অভয়নগরে মাদকের ছড়াছড়ি ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ, পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবৃদ্ধ

 

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় মাদকের ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ, বাড়ছে ছিনতাইসহ নানা রকম অপরাধ। উপজেলার নওয়াপাড়া রেলওয়ে এলাকা, বউবাজার, ড্রাইভারপাড়া, কলোনি, ভৈরব সেতু, মালেক হাজীর গোডাউনের পেছনে রেললাইন, রেলওয়ে কোয়ার্টার, নূরবাগ ছাগলহাটা, চেংগুটিয়া, লক্ষীপুর, কাপাশহাটি, আমডাঙ্গা, দেয়াপাড়া,শংকরপাশা, রাঙ্গারহাট, বুইকরা, মাইলপোস্ট, রাজঘাট, গোপীনাথপুর, চলশিয়া, একতারপুর, রানাগাতি, ধোপাদি, লক্ষিপুরসহ উপজেলার সর্বত্র। বিভিন্ন গ্রাম এখন মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ফলে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে। অধিক মুনাফা ও সহজে আমদানি করতে পারাই মাদক ব্যবসায়ীরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে রূপ নিয়েছে। এভাবে সব এলাকায় মাদকের ভয়াবহতা রূপ নিয়েছে। এসব এলাকার মধ্যে সব থেকে মাদক বেচা বিক্রি পয়েন্ট। এগুলো হলো: কলোনি এলাকা, হাজি সাহেবের বাফার ঘাট, মালেক হাজির গোডাউনের পেছনে রেললাইনের উপর, রেলওয়ে কোয়ার্টার এলাকা, নূরবাগ এলাকা, ভৈরব সেতুর আশপাশের এলাকা, চেংগুটিয়া ঘাট এলাকা। এসব এলাকায় নতুন ও পুরাতন মাদক কারবারিদের আখড়া হওয়াতে নওয়াপাড়ার বিভিন্ন অলিগলিতে যুবকেরা মোটরসাইকেল রেখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেবন করছে এইসব মাদক। মাদক বিক্রি করার জন্য মহিলারা ছদ্মবেশে রাস্তায় ঘোরাফেরা করেন। বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মাদক সেবন ও বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্য যা খুবই ভয়াবহ অবস্থা। এবিষয়ে শংকরপাশা সাবেক ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমার এলাকা শংকরপাশা এখানে মাদকের ছড়াছড়ি শুরু হয়েছে, যা বন্ধ হওয়া খুবই জরুরি ওই সব মরণ নেশার কবলে পড়ে ধ্বংস হচ্ছে এই এলাকার উঠতি বয়সী যুবকেরা এতে করে ওই সব সন্তানের মা বাবারা রয়েছে চরম আতংকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, উপজেলার সর্বত্র এখন মাদকের ছড়াছড়ি পুলিশ প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে চলছে এসব ভয়ংকর মাদক ব্যবসা, তাই পুলিশ প্রশাসনের উচিৎ মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান করা। স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি নাম না বলার শর্তে জানান, উপজেলায় মাদকের এতো ছড়াছড়ি হলেও স্থানীয় থানা পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবৃদ্ধ কারণ মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের নাকের ডগায় এসব ভয়ংকর মাদক ব্যবসা সেবন করে চলেছে প্রশাসনের তেমন কার্যকরী পদক্ষেপ চোখে পড়েনা। অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম হাসানের নেতৃত্বে কয়েকদিনের মধ্যে বেশকিছু মাদক জব্দ করা হলেও। মাদকের গড ফাদারেরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেই যাচ্ছে। এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করা হবে এবং হচ্ছে, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।

আরো সংবাদ