আজ - মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১১:১০

অশনি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যার দিকে ধাবিত হতে পারে

প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আজ মঙ্গলবার রাতে এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যার দিকে ধাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে অশনি নিয়ে বাংলাদেশের উৎকন্ঠার হওয়ার আপাতত কোন কারণ নেই।
মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বাসস’কে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের উপকূলে এ ঝড়ের আঘাত হানার আভাস এখন পর্যন্ত নেই। তবে অশনির প্রভাবে বাংলাদেশে ভারী বর্ষণ হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় অশনি গতিপথ বদলে পশ্চিম বঙ্গের দিকে কিছুটা সরে যাচ্ছে। এখন প্রবল ঘুর্ণিঝড় হিসেবে থাকলেও মঙ্গলবার রাতে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে অশনি প্রথমে আঘাত হানতে পারে অন্ধ ্রপ্রদেশের উপকুলে। এর পর তা বাঁক নিয়ে ঢুকতে পারে উড়িষ্যায়। অশনি’র প্রভাবে আজ  সকাল থেকে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হচ্ছে। আগামি ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, কক্সবাজারসহ উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে আগের মতো আজও ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌযানকে পরবর্তী নিদেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন-১২ তে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত