মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে আজও চাপ রয়েছে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীর। আজ সোমবার (১০ মে) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ঢাকা থেকে শত শত মানুষ ভিড় করতে থাকে ঘাট এলাকায়।
আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও যে যার মতো ভেঙে ভেঙে বিভিন্ন যানবাহনে করে ঘাটে এসে পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে, এ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলেও জরুরি রোগী ও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য ছোট দুটি ফেরি চলাচল করছে। এসব জরুরি সার্ভিসের যানবাহন পারের সময় যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে ফেরিতে উঠে পড়ছে। প্রচণ্ড গরম ও রোদের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আসা যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গনগনে রোদ মাথায় নিয়ে শত শত যাত্রী পারের অপেক্ষায় রয়েছে। যখনই লাশ ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স পারের জন্য ঘাটে ফেরি ভিড়ছে, তখনই শত শত যাত্রী হুমড়ি খেয়ে ফেরিতে উঠছে। বাধ্য হয়ে দু-একটি অ্যাম্বুলেন্সসহ যাত্রীবোঝাই করে ছেড়ে যাচ্ছে ফেরি।
এদিকে, যাত্রীদের স্রোত ঠেকাতে বিজিবি মোতায়েন করা হলেও ঘাট এলাকায় তাদের তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি।
বিআইডাব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘পাটুরিয়া -দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী পার করার জন্য ছোট দুটি ফেরি সচল রাখা হয়েছে। এসব গাড়ি পারের সময় যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে ফেরিতে উঠছে। যাত্রীদের সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না’।
এর আগে গতকাল রবিবার (৯ মে) পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সকালে যাত্রীর চাপ কম থাকলেও দুপুরের দিকে মহাসড়ক ও ঘাট এলাকায় চাপ বাড়তে থাকে। জরুরি সার্ভিসের ফেরি ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার সময় অনেকেই ফেরিতে উঠে পড়ে।
এদিকে যাত্রীর চাপ ঠেকাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানিকগঞ্জের প্রবেশপথ বারবাড়িয়া, শিবালয়ের টেপড়া, ও সিংগাইরের প্রবেশপথে বিজিবির চেকপোস্ট বসানো হয়। এ ছাড়া ঘাট এলাকায়ও পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা টহল দেন। তবে আজ সেই তৎপরতা অনেকটা শিথিল।