আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - বিকাল ৩:৩৪

আমি আমার ধর্ম পালন করবো, অপেক্ষায় আছি আদালতের রায়ের : মুসকান

বোরকা ও হিজাব পরে কলেজে যাওয়ার কারণে কট্টর হিজাববিরোধীদের রোষানলে পড়েছিলেন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের মুসলিম ছাত্রী মুসকান খান। কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরেই বিরোধীদের স্লোগানের মুখে পাল্টা ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন তিনি।

তবে হিজাব ইস্যুতে ব্যাপক তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই বুধবার কর্ণাটকের হাইকোর্টে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সাহসী এই মুসলিম শিক্ষার্থী মুসকানও জানিয়েছেন, তিনি রায়ের অপেক্ষায় আছেন এবং হিজাবের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে হায়দ্রাবাদভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিয়াসাত।

মুসকান খান কর্ণাটক রাজ্যের পিইএস কলেজ অব আর্টস, সাইন্স অ্যান্ড কমার্স’র বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী। কলেজটি রাজ্যের মান্দিয়া জেলায় অবস্থিত এবং বোরকা পরে যাওয়ার কারণেই মঙ্গলবার কলেজ চত্বরে হিজাববিরোধীদের রোষানলে পড়েন। অত্যন্ত সাহসীকতার সঙ্গে শত শত হিজাববিরোধীর ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানের পাল্টা ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্লাটফর্মে এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই তরুণী স্কুটার পার্কিংয়ে রেখে কলেজ ভবনের দিকে হাঁটছেন। এ সময় গেরুয়া ওড়না পরা একদল তরুণ ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেয় এবং তার দিকে এগিয়ে যায়। পাল্টা ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দেওয়ার সময় এই তরুণীকে ভীত দেখা যায়নি। ওই সময় হাত উপরে তুলে আল্লাহু আকবার স্লোগান দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে দেখা যায় তাকে। পরে কলেজের অধ্যক্ষ এবং অন্যান্য শিক্ষকরা তাকে সরিয়ে নেন।

শত শত তরুণের সামনে একাই প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন মুসকান খান নামের ওই শিক্ষার্থী। এছাড়া নিজের অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোয় মুসকানকে ৫ লাখ রুপি পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে জামিয়াত উলামায়ে হিন্দ।

কর্ণাটকের ওই প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষে অধ্যয়নরত এই শিক্ষার্থী বুধবার সাংবাদিকদের জানান, ডিপার্টমেন্টে একটি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার তিনি কলেজে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘বোরকা পরে কলেজে যাওয়ার কারণে একদল শিক্ষার্থী আমাকে গেইটে আটকানোর চেষ্টা করে। তারা বলেছিল- কলেজে ঢুকতে হলে বোরকা খুলতে হবে না হয় ফিরে যেতে হবে। আমি সেটির প্রতিবাদ করেছি।’

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত