আজ - রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সকাল ১০:৫৬

আ. লীগ থেকে ‘ঘুষ’ নিলেন বিএনপি প্রার্থী!

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীর কাছ থেকে বিএনপির দুই কাউন্সিলর প্রার্থীসহ চার নেতার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর হচ্ছেন। এতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এমপি ও যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম তাদের শোকজ করেছেন। সান্তাহার পৌর বিএনপির তৃণমূল নেতারা অভিযুক্তদের বহিষ্কারের জন্য জেলা কমিটির কাছে লিখিত সুপারিশ করে।
অভিযুক্ত চার নেতা হলেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী সান্তাহার পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম ও পৌর যুবদলের সদস্য মাহামুদুল আলম, পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি মামুনুর রশিদ এবং আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহফুজুল হক।

সান্তাহার পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মজিবর রহমান ও যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ইভিএম পদ্ধতিতে সান্তাহার পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য পৌর বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম ও পৌর যুবদল নেতা মাহামুদুল আলম দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এখানে আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রার্থী আবদুল কুদ্দুস। বিএনপি মনোনীত দুই কাউন্সিলর প্রার্থী যুবদল নেতা মামুনুর রশিদ ও বিএনপি নেতা মাহফুজুল হক আওয়ামী লীগ প্রার্থী কুদ্দুসের কাছ থেকে টাকা নেন। এই কারণে ওই দুই প্রার্থী গত ২০ ডিসেম্বর তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। ফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুল কুদ্দুস সান্তাহার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হচ্ছেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এ ব্যাপারে গত ২১ ডিসেম্বর সান্তাহার পৌর বিএনপির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় সর্বসম্মতিতে উল্লিখিত দুই কাউন্সিলর প্রার্থীসহ চার নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সুপারিশসহ চিঠি জেলা বিএনপির নেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বগুড়া জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুই কাউন্সিলর প্রার্থীসহ চার নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। সঠিক জবাব দিতে না পারলে তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত