আজ - শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সকাল ১১:২২

সুলতান ডাইনে অন্য প্রাণীর মাংস প্রমান মেলেনি।

সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে অন্য কোনো প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে শুনানি করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে এই শুনানিতে সুলতান’স ডাইনের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও অভিযোগকারী ব্যক্তিকে খুঁজে পাননি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

সুলতান’স ডাইনের কাচ্চির মাংস নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। কাচ্চিতে খাসির পরিবর্তে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই অভিযোগ থেকে সুলতান’স ডাইনকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে কাচ্চিতে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ তদন্ত সংক্রান্ত প্রতিবেদনে আজ সোমবার (১৩ মার্চ) এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল স্বাক্ষর করেন ওই প্রতিবেদনে।

প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানান, সুলতান’স ডাইনে খাসির বদলে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে।

রেস্তোরাঁটি সরেজমিনে তদন্ত এবং অভিযুক্তের মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য পর্যালোচনা করে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সুলতান’স ডাইন ‘মা বাবার দোয়া গোস্ত বিতান, কাপ্তান বাজার’ নামক ভেন্ডরের মাধ্যমে খাসির গোস্ত সংগ্রহ করে থাকে। কাপ্তান বাজারে খাসি জবাই করার সময় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাঝেমধ্যে উপস্থিত থাকেন। ভেন্ডর নিজ দায়িত্বে মাংস অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে পৌঁছয়।

সোমবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৯ মার্চ বিকেল আনুমানিক পৌনে ৪টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২ শাখা সরেজমিনে তদন্ত করা হয়। আজ ১৩ মার্চ সোমবার অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জিএম, এজিএম এবং ওই শাখার ম্যানেজার শুনানিতে উপস্থিত হয়ে মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন।

সন্দেহযুক্ত চিকন হাড়ের ব্যাপারে গত ৯ মার্চ সুলতান’স ডাইনের ম্যানেজার মৌখিকভাবে ১৫০ কেজি খাসির মাংস সংগ্রহের কথা জানান। কিন্তু ভেন্ডর ১২৫ কেজি সরবরাহের কথা জানান। সন্দেহযুক্ত চিকন হাড়ের ব্যাপারে অভিযুক্ত জানান, ৭ থেকে ৯ কেজি ওজনের খাসির মাংস তারা ব্যবহার করেন। আকারে ছোট হওয়ায় এসব খাসির হাড় চিকন হয়।

এদিকে যে মোবাইল নম্বর (০১৭২৩৩০৯৯০২) থেকে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল তাও বন্ধ পাওয়া যায়।

তাই খাসি বাদে অন্য প্রাণীর মাংসের ব্যবহার সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সুলতান’স ডাইনকে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘রেস্টুরেন্টের পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভোক্তা আইনের কোনো ব্যতয় আমরা পাইনি। এ ছাড়া সেদিন অভিযানে মাংস সংগ্রহ করতে পারিনি। তবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তাদের মাংস সংগ্রহ করেছে এবং তারা সেটি পরীক্ষা করছে।’

সুলতান’স ডাইনের মতো ঢাকায় আরো যত বড় প্রতিষ্ঠান আছে তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলেও জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘মাংসের ক্ষেত্রে সেটি কোথা থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে সেটির রেকর্ড রাখতে হবে। হালাল প্রক্রিয়ায় মাংস সংগ্রহ করতে হবে।’

আরো সংবাদ