আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৩:০৩

উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের কৃতিত্ব নতুন প্রজন্মের : শেখ হাসিনা

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের গৌরব নতুন প্রজন্মকে উৎসর্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন ,আমি এই অর্জন উৎসর্গ করছি- দেশের নতুন প্রজন্মকে। যারা আজকের বাংলাদেশকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।’

আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে গণভবন থেকে যুক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তার সঙ্গে অর্থমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। কান্নাজড়িত ভারি কণ্ঠে তার উপস্থাপনা শুরুতেই সবার দৃষ্টি কাড়ে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর হাতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র তুলে দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য শুরু করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহামারির কারণে প্রায় এক বছর পর আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। তবুও সরাসরি না, ভার্চুয়ালি । আজ অবশ্য আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি, একটি মহৎ এবং গৌরবোজ্জ্বল প্রত্যয়নের সুসংবাদ দেয়ার জন্য। বাংলাদেশ গতকাল স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি।

তিনি আরো বলেন, সমগ্র জাতির জন্য এটা অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের। আমাদের এই উত্তরণ এমন এক সময়ে ঘটলো, যখন আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে। এসময় বাংলাদেশের জন্য এ উত্তরণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংস স্তুপের মধ্যে থেকে টেনে তুলে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে তারই হাতে গড়া আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করেছে। এ কৃতিত্ব এ দেশের আপামরা জনসাধারণের। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি। এই শুভ মুহূর্তে আমি দেশ ও দেশের বাইয়ে অনাস্থানরত বাংলাদেশের সকল নাগরিককে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জাতির পিতার কন্যা হিসেবে, একজন নগণ্য সেবক হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। আমি এই অর্জনকে উৎসর্গ করছি আমাদের দেশের নতুন প্রজন্মকে। যারা আজকের বাংলাদেশকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজন এবং সাংবাদিকগণ উপস্থিতি ছিলেন।

আরো সংবাদ