আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৮:১৯

এবারের ব্যালন ডি’অর বেনজেমার প্রাপ্য : মেসি

রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমার হাতেই এবারের ব্যালন ডি’অর দেখছেন সাতবারের রেকর্ড এই এ্যাওয়ার্ড জয়ী লিওনেল মেসি।
এবারের মৌসুমে রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের মিশনে বেনজেমার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। শনিবার প্যারিসে লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে রেকর্ড ১৪ বারের মত ইউরোপীয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে গ্যালাকটিকোরা। ফাইনালে যদিও বেনজেমা গোল করতে পারেননি। কিন্তু নক আউট পর্বে বেনজেমার পরপর দুই হ্যাটট্রিকে রিয়ালের ফাইনালের পথ নিশ্চিত হয়। পিএসজির বিপক্ষে শেষ ১৬’তে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয় লেগে বেনজেমার ১৭ মিনিটের হ্যাটট্রিকে রিয়ালের জয়ের পথ সুগম হয়েছিল।
আর্জেন্টাইন চ্যানেল টিওয়াইসি স্পোর্টসকে মেসি বলেছেন, ‘এখানে কোন সন্দেহ নেই, বিষয়টি একেবারেই স্পষ্ট যে যেভাবে বেনজেমার হাত ধরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল জয়লাভ করেছে তাকে বেনজেমাই এই এ্যাওয়ার্ডের যোগ্য দাবীদার। শেষ ১৬’ থেকে প্রতিটি ম্যাচেই বেনজেমা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আমি মনে করি এখানে কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়।’
দুই কন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও ইতালির মধ্যকার ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিতব্য প্রীতি ম্যাচের দুইদিন আগে মেসি একথাগুলো বলেছেন। দক্ষিণ আমেরিকান কোপা আমেরিকা বিজয়ী আর্জেন্টিনা ও ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন ইতালির মধ্যে প্রথমবারের মত এই ধরনের একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যার নাম দেয়া হয়েছে ‘ফিনালিসিমা।’
বাছাইপর্ব উতরে আর্জেন্টিনা এবারের কাতার বিশ্বকাপের টিকিট পেলেও প্লে-অফে ছোট দল নর্থ মেসিডোনিয়ার কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নিয়েছে ইতালি। তারপরও বড় দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যকার ম্যাচটি যে উত্তেজনা ছড়াবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। মেসি বলেছেন, ‘ইতালির সাথে যা হয়েছে তা সত্যিই হতাশার। ইউরো জেতার পর বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়া মেনে নেয়া যায়না। বিশ্বকাপে ইতালির ইতিহাসের সাথে এটা মোটেই মানানসই না। ইতালি যদি বিশ্বকাপে খেলতো তবে তারা হতো অন্যতম ফেবারিট। এটা তাদের দূর্ভাগ্য। ইতালি এমন একটি দল কেউই তাদের বিপক্ষে খেলতে চায়না।’
ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় বার্সেলোনায় কাটিয়ে ৩৪ বছর বয়সী মেসি গত বছর পিএসজিতে যোগ দেন। কিন্তু প্যারিসের জায়ান্টদের হয়ে নিজের সেরা ফর্ম ফিরে পাননি। এর প্রেক্ষিতে মেসি স্বীকার করেছেন এই পরিবর্তনটা বেশ কঠিন ছিল। এমনকি পরিবারের জন্যও নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেয়াটা মোটেই সহজ ছিল না। ২০২১ সালের শেষে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন মেসি। সে সময় তার ফুসফুস ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের কাছে পরাজয়টাকে মেসি হতাশাজনক হিসেবে দাবী জানিয়েছেন।

আরো সংবাদ