আজ - শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সকাল ১১:৩৯

ওরা হোয়াইট হাউসও পাবে না, সিনেট নির্বাচনী শেষ জনসভায় ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের ‘মঙ্গলের জন্য’ জর্জিয়ার লোকজন যেন অবশ্যই সিনেট নির্বাচনে রিপাবলিকানদের ভোট দেয়, এমন আহ্বান জানিয়েছেন বিদায়ি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের আগের দিন সোমবার শেষ জনসভায় অংশ নিয়ে তিনি স্থানীয়দের উদ্দেশে এ কথা বলেন। হবু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এদিন জর্জিয়ায় জনসভা করেন।

গত ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের দুটি আসনে সিনেটের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। তাই স্থানীয় আইন অনুসারে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। গতকাল মঙ্গলবার ওই দুই আসনে নির্বাচন হয়। নির্বাচনের আগের দিন গত সোমবার রাতে সর্বশেষ সভা করতে জর্জিয়ার ডাল্টন শহরে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আর বাইডেন সভা করেন ওই অঙ্গরাজ্যের রাজধানী আটলান্টায়।

ডাল্টনের সভায় ট্রাম্প ৮১ মিনিটের দীর্ঘ বক্তৃতার বেশির ভাগ সময় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ নিয়ে কথা বলেন। ‘জর্জিয়া কোনোভাবেই আমাদের হাতছাড়া হওয়া যাবে না’ এমন মন্তব্য করার পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, ‘ওরা (ডেমোক্র্যাটরা) হোয়াইট হাউসও পাবে না।’ জর্জিয়ার লোকজন যেন অবশ্যই রিপাবলিকানদের ভোট দেয়, সে জন্য তাদের উৎসাহিত করতে তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ভালোবাসার আমেরিকাকে রক্ষার জন্য এটাই আপনাদের শেষ সুযোগ। আপনারা ভোট দিতে না এলে মৌলবাদী ডেমোক্র্যাটরা জিতে যাবে।’

এদিকে আটলান্টায় জনসভায় যোগ দিয়ে ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের করা ভোট কারচুপির অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ‘আমি জানি না কেন তিনি পদ ধরে রাখতে চাচ্ছেন, তিনি তো কাজটা করতে চান না।’ সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ‘এটা নতুন বছর। আগামীকাল আটলান্টার জন্য, জর্জিয়ার জন্য এবং আমেরিকার জন্য আসতে পারে এক নতুন দিন’, তবে সে জন্য জর্জিয়ার লোকজনকে ভোট দিয়ে ডেমোক্র্যাটদের জয়ী করতে হবে।

জর্জিয়ায় নির্বাচনের আগমুহূর্তে দুই শিবিরের শীর্ষ দুই নেতার সশরীরে ছুটে যাওয়ার কারণ গুরুতরই বটে। এ অঙ্গরাজ্যের দুই আসনে জয়ের ওপরই নির্ভর করছে সিনেটের কর্তৃত্ব। ১০০ আসনের সিনেটে বর্তমানে রিপাবলিকানদের হাতে রয়েছে ৫০ আসন আর ডেমোক্র্যাটদের ৪৮। জর্জিয়ার উভয় আসনে ডেমোক্র্যটরা জিতলে দুই দলের আসনসংখ্যা সমান হবে এবং সিনেটে বাইডেনের দলের কর্তৃত্বই নিশ্চিত হবে। কারণ তখন সিনেটে যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ৫০-৫০ ভোটে অচলাবস্থা সৃষ্টি হলে ডেমোক্র্যাট দলীয় হবু ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভোটে পরিস্থিতি ডেমোক্র্যাটদের অনুকূলেই যাবে।

সূত্র : এএফপি, সিএনএন।

আরো সংবাদ