আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের সামরিক হাসপাতালের কাছে গুলির পর জোড়া বিস্ফোরণে অন্তত ১৯ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র বিলাল কারিমি ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেছেন, কাবুলের ৪০০-শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের প্রবেশমুখে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে হতাহতের বিষয়টি স্পষ্ট করে জানাননি তিনি।
কারিমি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এটি একটি গাড়ি বোমা হামলা।
এ ঘটনার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি।
এর আগে শনিবার (২৩ অক্টোবর) দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর জালালাবাদে তালেবানকে লক্ষ্য করে চালানো বোমা হামলায় দুই বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারায়। তাদের মধ্যে একজন শিশুও ছিল।
গত আগস্টে তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই আফগানিস্তানে আইএসের হামলা-সহিংসতা বেড়ে গেছে। দেশটির নতুন শাসকগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। এতে প্রাণ হারাচ্ছেন বহু নিরীহ মানুষ।
কিছুদিন আগেই পরপর দুই শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদে হামলা চালিয়েছে আইএস। এতে প্রায় ১০০ জন নিহত ও কয়েকশ আফগান নাগরিক আহত হয়েছেন।
এছাড়া, গত বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে আইএসের হামলায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। এতে অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা শহর।
বিদ্যুতের জন্য আফগানিস্তান মূলত উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানের ওপর নির্ভরশীল। ফলে আন্তঃদেশীয় বৈদ্যুতিক লাইনগুলো বিদ্রোহীদের কাছে অন্যতম প্রধান লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিগত ২০ বছর মার্কিন-সমর্থিত আফগান সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ ধরনের স্থাপনাগুলোতে নিয়মিত হামলা চালিয়েছে তালেবান। এখন সেই কৌশলেই তাদের ক্ষতি করতে চাচ্ছে আইএস।