ফাঁসি কিংবা যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামিদের যেখানে রাখা হয়, রিয়া চক্রবর্তীকে সেই সলিটারি সেলে রাখা হয়েছে। তবে কারাগারে আতঙ্কে ও শঙ্কায় দিন কাটছে বলিউড এই অভিনেত্রীর।
জেলে আসার পর থেকে তিনি না কি ধর্ষণ হওয়ার ভয়ে আছেন। এজন্য জামিনের দ্বিতীয় আবেদনেও তিনি ধর্ষণ ও প্রাণহানির কথা জানিয়েছেন। তবে আদালত এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
রিয়া জানান, জেলে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। তাকে শারীরিক অত্যাচার এবং ধর্ষণের ভয় দেখানো হয়েছে।
রিয়া এখন মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা জেলে রয়েছেন। তার পাশের সেলেই রয়েছেন শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডের আসামি ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়।
বাইকুল্লা আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার কথা ভেবে আলাদা সেলে রিয়াকে রাখা হয়েছে। তিনটে শিফটে দুইজন করে কনস্টেবল গার্ড দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছে।
এখানে রিয়াকে কোনো ভিআইপি ট্রিটমেন্ট দেওয়া হচ্ছে না। তাকে ঘুমানোর জন্য একটি চাটাই দেওয়া হয়েছে, নেই কোনও বালিশ বা বিছানার বন্দোবস্ত। আদালত অনুমতি দিলে টেবিল ফ্যান দেওয়া হবে বলে জানান জেলের এক কর্মকর্তা।
মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশভোজে রিয়া পাচ্ছেন চাপাটি ও ডাল। আর সপ্তাহে একদিন আমিষ। এছাড়া করোনা মহামারিতে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য জেলবন্দিদের হলুদ গোলা দুধ দেওয়া হচ্ছে, যা রিয়াও পাচ্ছেন।
ভারতের নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো এনসিবির দাবি, জেরায় রিয়া স্বীকার করেন, তিনি সুশান্তকে মাদকের জোগান দিতেন। তিনি ড্রাগ সিন্ডিকেটের সদস্য।
এছাড়া রিয়া চক্রবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে বলিউডের বেশ কয়েকজনের নাম বলেছেন যারা মাদক নিতেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সারা আলি খান, রাকুলপ্রীত সিং, ফ্যাশন ডিজাইনার সিমোন খাম্বাটাও। এছাড়া রণবীর সিং, রণবীর কাপুর, করণ জোহর, দীপিকা পাড়ুকোনের নামও আছে বলে জানা গেছে।
সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে রিয়াকে মাদক সংশ্লিষ্টটায় গত ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়। এনসিবির পাশাপাশি সিবিআই এবং ইডি এই ঘটনার তদন্ত করছে।