আজ - মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১১:২০

কী করবেন এখন পরাজিত তারকা প্রার্থীরা?

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে একঝাঁক টলি তারকা প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন যারা প্রথমবার লড়েছেন ভোটের ময়দানে। তাদের কেউ জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। কেউ আবার হার নিয়ে মলিন বদনে ময়দান ছেড়েছেন। 

নির্বাচন তো শেষ। এবার তারকা প্রার্থীরা কি রাজনীতি ছেড়ে পর্দায় মনোযোগ দেবেন, নাকি রাজনীতির মাঠে থাকবেন—এমনটাই জানতে চাওয়া আমজনতার। 

হঠাৎ করে বিজেপিতে যোগ দিয়ে চমকে দিয়েছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, যশ দাশগুপ্ত ও তনুশ্রী চক্রবর্তী। এই চারজনই গেরুয়া শিবিয়ে প্রত্যাশার আলো হয়ে জ্বলছিলেন। কিন্তু প্রত্যাশার গুড়ে বালি দিয়ে সবাই হেরে বসেন। তাই তাদের নিয়ে এখন চলছে ফলাফল পরবর্তী চর্চা। এছাড়া দলের পুরানো তারকা প্রার্থী পার্নো মিত্র হেরে গিয়ে হতাশার জন্ম দিয়েছেন পদ্মফুলে।

হেরে গিয়ে পিছিয়ে যেতে চান না পার্নো মিত্র। বরং দলের প্রয়োজনে ভবিষ্যতে কাজ করে যেতে চান তিনি। পার্নো বলেন, “রাজনীতি ছেড়ে যাওয়ার প্রশ্ন নেই। ২০১৯ সাল থেকে দলে রয়েছি। আগামী দিনে দল যে কাজ দেবে, তাও করব। এলাকার মানুষ যেকোনো বিপদে আমাকে পাশে পাবেন।”

তনুশ্রী চক্রবর্তীও লড়াই শেষ না হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন। তিনি বলেন, “লড়াই শেষ নয়, এবার শুরু হবে। মন খারাপ হয়েছে। কারণ আমি ও আমার কর্মীরা খুব খেটেছিলাম। আর রাজনীতি নিয়ে সিরিয়াস বলেই এসেছি, পিছু হটার প্রশ্ন নেই।”

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় রাজনীতির ভবিষ্যৎ ঠিক করেননি এখনও। তিনি বলছেন, “সামনে কী হবে সেটা এখনই বলতে পারছি না। তবে প্রথমবার নির্বাচনে নতুন অভিজ্ঞতা হলো। এই অভিজ্ঞতা আমার কাছে শিক্ষণীয়।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া স্ট্যাটাস অনুযায়ী রাজনীতি থেকে এখনই কেটে পড়ছেন না পায়েল সরকার। তিনি লিখেছেন, “এটা আমার সবে শুরু। আমি এই জার্নি চালিয়ে নিয়ে যাব।’’

তবে হেরে গিয়ে একদম চুপ হয়ে গিয়েছেন যশ দাশগুপ্ত। ফলাফলের পর কোনো মাধ্যমে তাকে বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি। তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এখনও কিছু জানা সম্ভব হয়নি। জানা গেছে, যশ এতটাই মর্মাহত যে, কথা বলার অবস্থায় নেই।

ওদিকে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে যে ক’জন তারকা প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের মধ্যে আশাহত করেছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশানী মুখোপাধ্যায় ও সায়নী ঘোষ। যদিও তাদের সকলেরই খানিক নেতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে জনমানসে।

হারের পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো কিছু পোস্ট করেননি সায়ন্তিকা। ছবির জগৎ থেকে তিনি অনেকদিনই দূরে। স্টেজ শো আর রিয়েলিটি শোয়ে তাকে বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া ফিটনেস সচেতন অভিনেত্রী নিজের জিম খুলেছেন। আগামী দিনে তিনি কী করবেন, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

প্রতিবছর কৌশানীর ছবি মুক্তি পেলেও, নজরকাড়া কাজ কমই। হারের পরে তিনি কোনো বিবৃতি না দিলেও, ইনস্টা স্টোরিতে তার অনুরাগীদের পাঠানো একাধিক ‘হাল ছেড়ো না’র বার্তা শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। তিনিও রাজনীতিতে থাকবেন কী না—তা হলফ করে বলা যাচ্ছে না।

এই নির্বাচনে কোনো এক তারকাপ্রার্থী যদি আলোচনার কেন্দ্রে থাকেন, তিনি সায়নী ঘোষ। বিজেপি শিবিরের হেনস্থার জবাবেই ‘দিদি’র হাত শক্ত করে ধরেছিলেন তিনি। জানা গেছে, এখনই হাল ছাড়তে নারাজ তিনি। তার লড়াই চলবে।

পরাজয়ের পর তারকা প্রার্থীরা রাজনীতির ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যান কিনা—সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায়। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তারা যদি প্রথমবার ভোটে হেরেই রাজনীতিকে বিদায় জানান তাহলে তাদের ভাবমূর্তি তলানিতে গিয়ে ঠেকবে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত