আজ - বুধবার, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ১:৩৭

খসে পড়ছে ভৈরব সেতুর অ্যাপ্রোচ ঢাল, আতঙ্কে এলাকাবাসী

যশোরের শিল্প ও বাণিজ্য শহর নওয়াপাড়ার প্রাণকেন্দ্রে গড়ে ওঠা অভয়নগরবাসীর স্বপ্নের ভৈরব সেতু থেকে খসে পড়ছে অ্যাপ্রোচ ঢাল। তাছাড়া সেতু বরাবর অ্যাপ্রোচ ঢালের গোড়ায় দেখা দিয়েছে ফাটল। যেকোনো মুহূর্তে এ ঢালটি সম্পূর্ণ খসে পড়ে সেতুটির চরম ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে- এমনটাই আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। 

রোববার বিকালে সরেজমিন ভৈরব সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেতুর পূর্বপাড়ে ব্রিজের একটি অংশে খসে পড়ছে অ্যাপ্রোচ ঢাল। হঠাৎ করেই প্রায় ৪০-৫০ হাত জায়গাজুড়ে গত ৪-৫ দিন আগে ভারি বর্ষণের পরপরই তা খসে পড়ে। 

স্থানীয়রা বলছেন, সেতুটির পুরো অ্যাপ্রোচ ঢালজুড়েই এ ফাটল স্পষ্টরূপে দেখা দিয়েছে। ফাটলের কারণে সেতুতে বসানো পিলারগুলো নড়বড়ে হয়ে গেছে বলে এলাকাবাসী দাবি করেন। ফলে এলাকাবাসী ও পথচারীদের মাঝে একধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের আশঙ্কা অ্যাপ্রোচ ঢাল খসে পড়ে সেতুটি দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে। 

ইতোমধ্যে এলজিইডির ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা সেতুটি পরিদর্শন করেছেন। তাদের দাবি, স্ল্যাব বেশি খাঁড়া হওয়ায় অ্যাপ্রোচ ঢালে ফাটল দেখা দিতে পারে এবং তা খসেও পড়তে পারে। যত দ্রুত সম্ভব প্রধান কার্যালয়ের ডিজাইন সেল থেকে ডিজাইন বিশেষজ্ঞ এনে নতুন ডিজাইন করে তা পুনরায় স্থাপন করা হবে। 

ভৈরব সেতুর পশ্চিমপাড় এলাকার বাসিন্দা আজিম চৌধুরী বলেন, দায়সারাভাবে অ্যাপ্রোচ ঢাল স্থাপন করায় এবং ঠিকমতো পুডিং না দেওয়ায় সেতুটির বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। তিনি আশঙ্কা করেন যেকোনো মুহূর্তে পুরো অ্যাপ্রোচ ঢাল খসে পড়ে সেতুটি অধিক ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে; যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

এ ব্যাপারে এলজিইডির অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার বসু বলেন, অ্যাপ্রোচ ঢাল খসে যাওয়ার খবরে সম্প্রতি এলজিইডির যশোর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আনিসুজ্জামান ও খুলনাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রতন কুমার দাস সেতুটি পরিদর্শন করেছেন। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে ডিজাইনার চাওয়া হয়েছে। ডিজাইনার এনে নতুন করে সঠিকভাবে ডিজাইন তৈরি করে পুনরায় অ্যাপ্রোচ ঢাল স্থাপন করা হবে। 

এ বিষয়ে এলজিইডির যশোর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আনিসুজ্জামান বলেন, অ্যাপ্রোচ ঢাল খসে পড়ায় প্রধান কার্যালয়ের ডিজাইন সেলে ডিজাইনার চাওয়া হয়েছে। ডিজাইনার এলে নতুন করে ডিজাইন তৈরি করে তা স্থাপন করা হবে। 

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এই ভৈরব সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়। ৭০২ দশমিক ৫৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৮ দশমিক ১ মিটার প্রস্থের এ সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেতুটির নির্মাণ কাজটি সম্পন্ন করে ম্যাক্স গ্রুপের ম্যাক্স র্যাং কিং জয়েন্ট ভেঞ্চার নামক প্রতিষ্ঠানটি।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত