নাজিম উদ্দীন জনি: যশোরের শার্শা ও ঝিকরগাছা দুই উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন গুড়ি গুড়ি ও অবিরাম বৃষ্টিতে তলিয়ে গিয়ে স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্নে হয়ে গেছে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় গুড়ি গুড়ি ও রোববার রাত থেকে এবং সোমবার দিনভর অবিরাম চলে বৃষ্টি।তবে শনিবার থেকে দুই উপজেলায় সারা রাত এমনকি সকাল থেকে এখনো পর্যন্ত গুড়িগুড়ির পর থেকে চলছে অবিরাম বৃষ্টি।যা চলতে পারে সারা রাত এমনটাই আশা আবহাওয়া অফিসের।
এর ব্যতিক্রম হয়নি কখনো থামে আবার কখনো মুসলধারে চলে আবার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটেখাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো। কাজ না পেয়ে অনেককে বিভিন্ন দোকানে বসে থাকতে দেখা গেছে।
কথা হয় শার্শার বাগআঁচড়ার শহিদুলের সাথে তিনি জানান, তাদের আমন ক্ষেতের ধান তলিয়ে আছে।অপরদিকে ঝিকরগাছার শংকরপুর ইউনিয়নের কুলবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুর রহিম পশারির সাথে তিনি জানান, তার আড়াই বিঘা জমিতে পাকা আমন ধান টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে।
রুদ্রপুরের চাষী মাসুম জানান,তার এলাকায় বেশী চাষ হয় শীতকালীন সবজীর।এ বৃষ্টিতে এলাকায় প্রায় সকল চাষীর লাগানো আলু,পেঁয়াজ,পটল ক্ষেত তলিয়ে গিয়েছে।
এর ফলে অত্র অঞ্চলের ধান চাষিরা পড়েছে মহা বিপাকে। সেই সাথে বিপাকে পড়েছে বই – খাতা হাতে বিদ্যালয়ের উদ্দেশে রাস্তায় বের হওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। টানা বৃষ্টির কারণে কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় “জাওয়াদ”র প্রভাবে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবেই সারাদেশের ন্যয় শার্শা ও ঝিকরগাছার আশপাশের এলাকায় গুড়ি গুড়িসহ অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে।
মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি কমবে বলে আশা আবহাওয়া অফিসের। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় “জাওয়াদ” এর প্রভাব কেটে যাওয়ার সাথে সাথে সারাদেশের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। সেই সাথে শীত অনুভূত হতে থাকবে। এমনকি সারাদেশে শীত পড়বে বেশি।