আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৩:৫০

ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ ভারতের উড়িষ্যার দিকে যাচ্ছে

ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের উড়িষ্যার দিকে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ছানাউল হক মন্ডল বাসস’কে জানিয়েছেন, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’তে রূপ নিয়েছে। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের উড়িষ্যার দিকে যাচ্ছে। ‘অশনি’র গতিপথ ভারতের উড়িষ্যার দিকে হলে এখনই বলা যাচ্ছেনা যে- এটি কোথায় আঘাত আনবে। এর গতিপথ পরিবর্তন হবে কিনা তাও বলা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর অশিনি’র গতিপথ ও এর অবস্থান সম্পর্কে গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হযয়েছে। সেইসাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত গভীর নি¤œচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ এ পরিণত হয়ে একই এলাকায়
অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারে মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দম্কা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছ।
আবহাওয়া অধিদফতরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মে মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুইটি  নি¤œচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২ টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত ২ থেকে ৩ দিন মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী বা বজ্র ঝড় এবং অন্যস্থানে ৩ থেকে ৪ দিন হালকা বা  মাঝারি কালবৈশাখী বা বজ্র ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অধিদফতরের মে মাসের দেওয়া দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে ১ থেকে ২ টি তীব্র তাপ প্রবাহ এবং অন্যস্থানে ২ থেকে ৩ টি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত