আজ - শনিবার, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১০:০৯

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টি সহ ঝড়হাওয়া ।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে উপকূলীয় জেলাগুলোসহ বিভিন্ন জেলায় গুঁড়িগুঁড়ি ও মাঝারি বৃষ্টিপাত সহ ঝড়হাওয়া বাইছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সর্বশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, আজ সোমবার সকাল আটটায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমটিার দক্ষিণ–পশ্চিমে; কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিলোমিাটর দক্ষিণ–পশ্চিমে; মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমটিার দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরও ঘনীভূত এবং উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রোববার (২৩ অক্টোবর) ভোররাত থেকে সকাল নাগাদ খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা জুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে শিবচর উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিয়নের খেটে-খাওয়া মানুষ পড়েছেন ভোগান্তিতে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রোববার (২৩ অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটসহ উপকূলের ১৯টি জেলায় আঘাত হানতে পারে বলে আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পটুয়াখালীতে বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের তীব্রতাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে, কুয়াকাটা সংলগ্ন সাগর অপেক্ষাকৃত শান্ত রয়েছে।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ থেকে আট ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আরো সংবাদ