আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - দুপুর ১২:৫৬

চাঁচড়ার পান্নুর ভায়াগ্রা ছাড়াতে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনারকে হুমকি!

জব্দ ভায়াগ্রার চালান ছেড়ে দেয়ার জন্য অব্যাহতভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমানকে। আন্তর্জাতিক একটি মাদক চক্র কমিশনারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য শুরু করেছে নানা ষড়যন্ত্র।

রবিবার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই। কাস্টমস হাউসের সূত্র জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় ভারত থেকে আমদানি করা ৩০১ প্যাকেজের মোটর পার্টসের চালানে ২২ কেজি ভায়াগ্রা আমদানি করে যশোরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘মা মনি’ এন্টারপ্রাইজ। যার আমদানি মূল্য ১২ হাজার ৭৮০ মার্কিন ডলার, এলসি নম্বর -০৮৮৬২১০১০৩৫৬।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাস্টমসের আইআরএম টিম চালানটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে মোটর পার্টস’র চালানে ঘোষণা বহির্ভূত ২২ কেজি ভায়াগ্রা জব্দ করে। আটক পণ্যের মূল্য ১১ লাখ টাকা। পরবর্তীতে কাস্টমস কমিশনারের নির্দেশে ভায়াগ্রার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। পরীক্ষায় ভয়াগ্রার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুয়েট কর্তৃপক্ষ।

পরবর্তীতে গত ২০২১ সালের জুলাই মাসে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারককে কারণদর্শানো নোটিশ জারি করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কারণদর্শানো নোটিশ জারির পরপরই একটি চক্র কমিশনারকে ভায়াগ্রার চালানটি ছেড়ে দেয়ার জন্য নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কমিশনার তাদের চাপে কোন কর্ণপাত না করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। এর পরপরই মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটটি কমিশনারকে হুমকি দেয়। অনলাইনে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে নানা ধরনের অপ্রচার শুরু করে।

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকি রোধে কমিশনার আজিজুর রহমান জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করায় তাকে নানাভাবে হয়রানি করার জন্য একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি ইতোপূর্বে বড় ধরনের বেশ কটি অনিয়ম ও রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা উদঘাটন করায় তাকে সমাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, ভায়াগ্রার চালান আটকের বিষয়টি ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। হুমকি দিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার দিন শেষ। বেনাপোল কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ একটি ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বৈধ আমদানি ও সৎ করদাতাদের সার্বিক সহযোগিতা দিতে বদ্ধ পরিকর। বিদ্যমান আইন ও বিধি মোতাবেক যথাযথ পরিমাণ রাজস্ব আদায় ও দ্রুত পণ্যচালান খালাসে সবার সহযোগিতা চাই। করোনাকালেও আমাদের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সরকারের রাজস্ব আদায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আরো সংবাদ