আজ - শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ১:০১

জীবননগর-কালীগঞ্জ সড়কে ৬ মাস বাস বন্ধ : দুর্ভোগ চরমে

চুয়াডাঙ্গা-যশোর ভায়া জীবননগর-কালীগঞ্জ সড়কে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সাথে চুয়াডাঙ্গা বাসমালিক সমিতির বিরোধের জেরে গত ৬ ডিসেম্বর থেকে কালীগঞ্জ বাস মালিক সমিতি সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এতে যাত্রী সাধারণ পড়েছেন চরম বিপাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা মালিক সমিতির বাস নিয়মিত চুয়াডাঙ্গা থেকে সরাসরি যশোর পর্যন্ত চলাচল করে। অপর দিকে কালীগঞ্জ-যশোর বাস মালিক সমিতির বাস যশোর থেকে চুয়াডাঙ্গা পর্যন্ত চলাচল করে। কিন্তু দুই মালিক সমিতির দ্বন্দ্বের কারণে গত ৬ ডিসেম্বর থেকে হঠাৎ করেই চুয়াডাঙ্গা মালিক সমিতির বাস জীবননগর উপজেলার শেষ প্রান্ত হাসাদহ বাজার পর্যন্ত যাতায়াত করছে। অন্য দিকে কালীগঞ্জ-যশোর মালিক সমিতির বাস ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শেষ প্রান্ত হাসাদহ-বকুণ্ডিয়া এলাকায় গিয়ে থামছে। মাঝপথে উভয় বাসের যাত্রীদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে বাস পরিবর্তন ও বাড়তি ভাড়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ অবস্থা গত কয়েক বছর ধরে চলমান থাকার পর যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি নিরসনে আবার সরাসরি বাস চলাচল শুরু হয়। কিন্তু সে ব্যবস্থা বেশি দিন টিকেনি। একই সড়কে বারবার সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে যাত্রীদের ভোগান্তিও বেড়েছে। মালিক বাস সমিতির এমন খেয়ালিপনায় বিক্ষুব্ধ সড়কে যাতায়াতকারীরা।
সড়কে যাতায়াতকারী মতিয়ার রহমান বলেন, সরাসরি বাস চলাচল না করার কারণে আমরা যারা সাধারণ যাত্রী তাদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। আবার চরম দুর্ভোগেরও শিকার হতে হচ্ছে। একজন যাত্রীকে একই যাত্রা পথে দুই স্থানে ওঠা-নামা করতে হচ্ছে। এ অবস্থার কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা। আবার চাকরিজীবীদেরও শিকার হতে হচ্ছে বিড়ম্বনার।
চুয়াডাঙ্গা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সম্পাদক এ কে এম মঈন উদ্দিন বলেন, আমরা সৃষ্ট সঙ্কট নিয়ে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলামকে জানিয়েছি। এ ছাড়াও চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
জীবননগর মোটর মালিক সমিতির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বাবলু বলেন, চুয়াডাঙ্গা-যশোর ভায়া জীবননগর রুটে চুয়াডাঙ্গা থেকে সরাসরি ৪০টি বাস চলাচল করত। যার মধ্যে খুলনা রুটে চলাচলকারী বাসও রয়েছে। ২০১৩ সালে একই রুটে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে ২০ মাস ১১ দিন সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রাখে কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতি। ওই সময়ও উভয় সমিতির বাস হাসাদহ পর্যন্ত চলাচল সীমাবদ্ধ ছিল।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, বিষয়টি সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির বিষয়। তারা এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে আমাদেরকে কিছু জানায়নি। আমাদের জানানো হলে আমরা অবশ্যই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেব।

আরো সংবাদ