আজ - মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১১:৩২

জুমাতুল বিদা : করোনা থেকে মানবজাতির মুক্তি চেয়ে বিশেষ মোনাজাত

পবিত্র মাহে রমজানের শেষ শুক্রবার আজ। দিনটি মুসলিম বিশ্বের কাছে জুমাতুল বিদা নামে পরিচিত। মূলত জুমাতুল বিদার মধ্য দিয়ে মাহে রমজানকে বিদায় সম্ভাষণ জানানো হয়। ১৪৪২ হিজরির শেষ জুমাবার আজ।

এই দিনকে কেন্দ্র করে আজ জুমাতুল বিদায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সারা মানবজাতিকে করোনা থেকে মুক্তির প্রত্যাশা জানিয়ে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ নামাজ পড়ান মুফতি মিজানুর রহমান। নামাজ শেষে মোনাজাতে বসে তিনি বলেন, ‘সারা মানবজাতি আজ করোনা মহামারির কবলে। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে একমাত্র আল্লাহ আমাদেরকে বাঁচাতে পারেন। তিনি যদি আমাদেকে না বাঁচান, তাহলে আমাদের বাঁচানোর মতো কেউ নেই। আমরা তোমার (আল্লাহ) দরবারে হাত তুলেছি মাওলা। তুমি আমাদের ক্ষমা করে দাও। করোনা থেকে রক্ষা করো। এভবে চলতে থাকলে আমরা সবাই একে একে মারা যাব। তুমিই তোমার বান্দাদের রক্ষা করো।’

মুফতি মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘পবিত্র রমজানে আমরা তোমার দরবারে হাত তুলেছি। তুমি সারা বিশ্বের সব মানুষকে ক্ষমা করে দাও। মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করছি মাবুদ। তুমি আমাদের মতো পাপী বান্দাদের ক্ষমা করে দাও।’

ফরিয়াদ জানানো মানুষগুলো দুপুর ১২ টার পর থেকে বাইতুল মোকাররমে আসতে শুরু করেন। জুমার ফরজ নামাজ চলাকালেও অনেকে মসজিদে নামাজের জন্য আসেন। মসজিদে থেকে দেখা গেছে, এত বেশি মানুষ আজ বাইতুল মোকাররমে নামাজে এসেছিলেন যে, বিশাল মসজিদের ভেতরেও জায়গা হয়নি। ফলে মসজিদের বাইরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে হয়েছে অনেককে।

বাইতুল মোকাররমের চারদিকে আজ প্রচুর ভিক্ষুক দেখা গেছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ভিক্ষুকের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। সবিরুদ্দিন নামের এক ভিক্ষুক বলেন, ‘আজকের এই দিনে মানুষ ভালো (বেশি) টাকা দেয়। অন্য যেকোনো শুক্রবারের চেয়েও আজ বেশি মানুষ টাকা দিছে। প্রতি শুক্রবার এখানে থাকি আমি। আজ সব দিনের চেয়ে বেশি টাকা হয়েছে।’

পাশে বসে মানুন নানের আরেকজন ভিক্ষুক বলেন, ‘আজকের টাকা দিয়ে ছেলের জন্য একটা পাঞ্জাবি কিনে দেব। একটা মেয়ে আছে৷ তার জন্যও জামা-কাপড় কিনব।’

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত