ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মহব্বত আলী (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন। নিহত মহব্বত উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাবিবর রহমানের ছেলে
রোববার ভোরে উপজেলার জামাল ইউনিয়নের বড় তালিয়ান গ্রামের আব্দুল লতিফের বাড়িতে হামলার মধ্যে দিয়ে সংর্ঘর শুরু হয়। এসময় হামলাকারীরা তার বাড়ি ভাংচুর করে। এসময় বাড়ির মালিক আব্দুল লতিফ বউ এর সহযোগীতায় ঘর থেকে পালিয়ে গেলেও হামলাকারীরা বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। হামলাকারীরা কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির এক অংশের নেতৃত্ব দেওয়া এক নেতার সমর্থক। অন্যদিকে হতাহতরা সবাই কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অপর অংশের হামিদুল ইসলাম হামিদের সমর্থক।
কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি সংঘর্ষে আহতরা হলেন নিহত মহব্বত আলী, তার ভাই ইউনুছ আলী, প্রতিবেশি রেজাউল ইসলাম, রেফাজুল এবং বড় তালিয়ান গ্রামের মিকাঈল হোসেন। এরমধ্যে মহব্বত আলী ও ইউনুছ আলীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে মহব্বত মারা যান। বাকিদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। নিহত মহব্বতের ভাগ্নে বনি আমিন মামা নিহতের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ পর্যন্ত পাঁচজন জখম রোগী হাসপাতালে এসেছিল। সবার শরীরে ধারালো দা দিয়ে কোপানো ও রড দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা ও যশোর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার হতাহতের সংবাদ নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী কাজ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে