আজ - শনিবার, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৯:৪০

টাইগারদের বোলিং তোপে অল্পতেই গুটিয়ে গেল ইংল্যান্ড

প্রথম ম্যাচে টাইগারদের কাছে তেমন সুযোগই পায়নি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তাই অনুমিতভাবেই এ ম্যাচে রণকৌশল বদলেছে ইংলিশরা। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। টাইগার পেসারদের তোপ আর স্পিনারদের ঘূর্ণিতে ১১৭ রানের বেশি করতে পারেনি ইংলিশরা।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার (১২ মার্চ) শুরুতে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১১৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ইংল্যান্ড। চার ওভারে ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ইংলিশদের ধস নামানোর নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।

টস জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শুরুতেই টাইগারদের চমকে দিয়ে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনে ইংলিশরা। প্রায় পাঁচ বছর পর কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওপেনিংয়ে নামেননি জস বাটলার। তার পরিবর্তে শুরুতে ব্যাটিংয়ে আসেন ডেভিড মালান।
মালান-সল্টের শুরুটা অবশ্য মন্দ হয়নি। দুই ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ইংলিশদের রান আসে ১৬। তৃতীয় ওভারে আসে প্রথম উইকেট। মালানকে হাসান মাহমুদের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তাসকিন আহমেদ।

উইকেটের চাপ সামলে অবশ্য বেশ ভালোই ব্যাটিং করছিলেন ফিল সল্ট ও মঈন আলী। কিন্তু সপ্তম ওভারে সাকিব এসে ঘুরিয়ে দেন খেলার মোড়। ফিল সল্টকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু আনেন এই স্পিনার। সেখান থেকে রানের লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ।
সাকিবের পরের ওভারে হাসান মাহমুদ এসে বোল্ড করেন বাটলারকে। আর তার পরের ওভারে মিরাজ ফেরান মঈন আলীকে। তাতে চার উইকেট হারিয়ে বেশ ভালোই চাপে ইংলিশরা।
চাপের মুখে ধীরে ধীরে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন স্যাম কারান ও বেন ডাকেট। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের এক ওভারে আবার পরিবর্তন হয় ম্যাচের গতিপথ। স্যাম কারান ও ক্রিস ওকসকে একই ওভারে ফেরান তিনি। ৯১ রানে ৬ উইকেট হারায় ইংলিশরা।
১০ বলে ৩ রান করে মেহেদীর শিকার হয়ে ফেরেন ক্রিস জর্ডান। শুরু পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি বেন ডাকেট। ২৮ বলে করেছেন ২৮ রান। তাতে ১১৭ রানে থামে ইংলিশদের ইনিংস।

আরো সংবাদ