প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ জামাতা ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (শনিবার)। ২০০৯ সালের এদিনে অর্থাৎ ৮ মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণী দিয়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর এম এ ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর সব আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার জন্মস্থান রংপুরে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে৷
দিবসটি পালনে রংপুর ও পীরগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সকালে পৈতৃক নিবাস ফতেহপুর গ্রামে ড. ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও কবর জিয়ারত করাসহ সুবিধাজনক সময়ে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া মোনাজাত করা হবে। বিকেলে ড. এম এ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন ও জেলা ছাত্রলীগ অসহায় দুস্থ মানুষদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করবে।
ড. ওয়াজেদ স্মৃতি পরিষদ, রংপুর জেলা, মহানগর ও পীরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন সীমিত পরিসরে এসব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পীরগঞ্জ উপজেলার লালদীঘি ফতেপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পীরগঞ্জের মানুষ তাকে সুধা মিয়া বলে ডাকতেন। ছাত্রলীগ নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের ভিপি হিসেবে তিনি সামরিক জান্তা আইয়ুব খানবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। এ জন্য ১৯৬২ সালে গ্রেফতার হন তিনি।
ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনে যোগ দিয়ে চাকরিজীবন শুরু করেন। পরে তিনি আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। বিজ্ঞানে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু সোসাইটি তাকে ‘স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু স্বর্ণপদক’-এ ভূষিত করে।
আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘ, পদার্থবিজ্ঞান সমিতি, বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি, বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতি, বঙ্গবন্ধু আদর্শ মূল্যায়ন ও গবেষণা সংসদ এবং জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও কার্যক্রম পরিচালনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি আওয়ামী লীগের দুর্দিনে দলকে আগলে রেখে সুসংহত করেছিলেন। ২০০৯ সালের এই দিনে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।