আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৪:২৪

দিঘলিয়া সাহাপাড়ার ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর, মন্দির পরিদর্শন করেছেন ১৪ দলের নেতারা

নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ায় দুস্কৃতিকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর ও মন্দির পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা।
আজ শুক্রবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন তারা। এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ ১০টি পরিবারের মাঝে ১০ হাজার টাকা করে এবং ৪টি মন্দিরে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়।পরে দিঘলিয়া সার্বজনীন রাধাগোবিন্দ মন্দিরে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর, মন্দির পরিদর্শন ও মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন-১৪ দলীয় জোটের নেতা আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনসহ ১৪ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
দিঘলিয়া রাধাগোবিন্দ সার্বজনীন মন্দিরে স্থানীয় বিভিন্ন মন্দিরের পুরোহিত,হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, দিঘলিয়া সাহাপাড়ায় হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ছাড় দেয়া হবে না। বর্তমান সরকারের উন্নতি ও অগ্রযাত্রাকে বাঁধাগ্রস্থ করতে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী এসব অপকর্ম করেছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ১৪ দল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সব সময় আপনাদের পাশে থাকবে। কে সংখ্যালঘু বা কে সংখ্যাগুরু এসব কোন হিসাব নাই। হিসাব একটাই আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, আমরা সবাই সমান। ১৪ দল সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ছিল,এখনো আছে,ভবিষ্যতেও থাকবে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, দিঘলিয়া সাহাপাড়ার ঘটনা বিছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ও জ্বালাও-পোড়াও’র সঙ্গে এ ঘটনার যোগসূত্র আছে। বার বার এ ধরনের হামলা হওয়ার কারণ হচ্ছে, সঠিক বিচার না হওয়া।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন ধারাকে বাঁধাগ্রস্ত করতে রাজাকার ও জঙ্গী গোষ্ঠি এই হামলা চালিয়েছে। দিঘলিয়ার এই হামলা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। এই সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। এখানে যারা নিরীহ মানুষদের বাড়িঘরে আগুন দিলো এই অপশক্তিকে ৭১ এর মতো আবারো আমাদের রুখে দিতে হবে।
এস এম কামাল হোসেন বলেন, এই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

আরো সংবাদ