প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় টাইফুন বুধবার কোরীয় উপদ্বীপের দিকে ধেয়ে আসায় দুই কোরিয়ায় ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং দক্ষিণ কোরিয়া তাদের বিমান উড্ডয়ন বন্ধ করে দিয়েছে।
টাইফুন মায়াসাক রিসোর্ট দ্বীপ জেজুতে জলোচ্ছ্বাসের পাশাপাশি ঘন্টায় ১৬২ কিলোমিটার (১০১ মাইল ঘন্টায়) বেগে টাইফুন আছড়ে পড়ায় দক্ষিণ কোরিয়া ৩০০’র বেশী আভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং সি কিয়ন বলেছেন, পূর্বাভাসে এই ঝড়টিকে ২০০৩ সালের টাইফুন মেইমির সমান শক্তিশালী বলা হয়েছে, এই ঝড়ে ১৩১ জন লোক প্রাণ হারিয়েছে এবং ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশী আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
কম্বোডিয়ার একটি গাছের নামে এই টাইফুনের নাম মায়াসাক রাখা হয়েছে। বুধবার দিনের শেষ দিকে কোরিয়ার দক্ষিণ উপকূলের বুসানের পশ্চিমে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। পরে টাইফুন জাপান সাগরে যাওয়ার আগে উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, পুনরায় ঝড়টি বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার শিল্প নগরী চোঙজিনের কাছে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।
বুধবার দিনের শেষে এবং বৃহস্পতিবারে ঝড়ের বেগ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে উল্লেখ করে দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া বিভাগ জানায়, ঝড়ের প্রভাবে ৪০০ মিলিমিটারের বেশী বৃষ্টিপাত হতে পারে।