আজ - বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সকাল ৯:৪৯

নারিকেলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে করোনাকালীন সময়ে বেতন ও মৌসুমী ফি আদায়: আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন

বাঘারপাড়া প্রতিনিধি: যশোরের বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মব হির্ভূতভাবে অর্থ আদায় করা হচ্ছে-এমন অভিযোগের পক্ষে-বিপক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুপক্ষ মানববন্ধন করেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা এ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নারিকেলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে করোনাকালীন সময়ে বেতন ও মৌসুমী ফি আদায় করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ-এমন অফিযোগ এনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বাবলু সাহার লোকজন রোববার দুপুরে স্কুলের সামনে বাজারের মধ্যে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক এমদাদ হোসেনের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে একই স্থানে পাল্টা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র পারভেজ হোসেনের বাবা নান্নু মুনসী মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করে বলেন, ‘তার ছেলের কাছ থেকে বেতন ও মৌসুমী ফি বাবদ ১২৪২ টাকা আদায় করা হয়েছে।’

একই অভিযোগ করে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মহসীনা আক্তার মেঘলার বাবা মোহন বিশ্বাস বলেন, ‘তার মেয়ের কাছ থেকে মৌসুমী ফি বাবদ ৪৪৬ টাকা নেয়া হয়েছে।’ এমন অভিযোগ করেন আরও কজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক।

এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এমদাদ হোসেন বলেন, ‘সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হচ্ছে। ১২ থেকে ১৩ জনের কাছ থেকে ভুলবশত টাকা নেয়া হয়েছে। বিষয়টি আমি জানার পর তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানবিক কারণে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর চার থেকে সাত মাসের বেতন মওকুফ করা হয়েছে।’

প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবলু সাহার নির্দেশে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে। তাকে (বাবলু সাহা) বারবার পরিচালনা কমিটির সভা ডাকার কথা বলা হলেও তিনি গুরুত্ব দেননা। যে কারণে পরিচালনা কমিটির ১১ সদস্যের মধ্যে দুএকজন বাদে সবাই তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এখন রাজনীতি ঢুকিয়ে বাবলু সাহা স্কুলটিকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে।’

স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বাবলু সাহা বলেন,‘সতর্ক করার পরও সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষক এমদাদ হোসেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছেন। এটার প্রতিবাদ করেছে অভিভাবকরা। প্রধান শিক্ষক নিজের ইচ্ছামতো স্কুল পরিচালনা করছেন। আমি স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি। আমার সাথে পরামর্শ না করেই তিনি সব সিদ্ধান্ত নেন।’

আরো সংবাদ