রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা দু’মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিট ম্যাজিষ্ট্রেট শুভ্রা চক্রবতী মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন।
এরআগে বুধবার রাতে পুলিশ বাদি হয়ে দু’টি মামলা করেন। একটি মামলা বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা হয়েছে। দু’মামলাতে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ি, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১ হাজার ২শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ ম কাইযুম বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়িদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় ২৪ জন এজাহারভূক্তসহ ব্যবসায়ি-কর্মচারী মিলে অজ্ঞাতনামা তিনশজনকে আসামি করা হয়। এছাড়া একই মামলায় অজ্ঞাতনামা ঢাকা কলেজের মিক্ষার্থীসহ আরও ৭শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা আরেকটি মামলায় অজ্ঞাতনামা দেড়শ থেকে দু’শজনকে আসামি করা হয়েছে। নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান ও পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির বাদি হয়ে দু’টি মামলা করেন।
এরআগে সোমবার রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। তা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এতে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। আর সংঘর্ষের মাঝে পড়ে দু’জন মারা গেছেন।
এরমধ্যে ঘটনার দিন মঙ্গলবার কামরাঙ্গীরচরে বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন নাহিদ নামে এক কুরিয়ার কর্মী। এ সময় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত নাহিদের বাবা মো. নাদিম হোসেন বাদি হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।