একদিন না পেরুতেই ঝিনাইদহের শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় আরেকটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে সারুটিয়া ইউনিয়নের ভাটবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত জসিম উদ্দিন (৪০) ভাটবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সারুটিয়া ইউনিয়নের কাতলাগাড়ী বাজারে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জুলফিকার কাইছার টিপুর সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
ভাটবাড়িয়া গ্রামের বৃদ্ধ আকরাম হোসেন জানান, নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুনের সমর্থক জসিম ও মিলন। তারা শুক্রবার মাহমুদুল হাসান মামুন ও জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত হারান বিশ্বাসের জানাজায় অংশ নিতে কৃষ্ণনগর গ্রামে যাচ্ছিলেন।
“পথে প্রতিপক্ষের একদল লোক তাদের ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে জসিম মারা যান।” তিনি জানান, আহত মিলনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শৈলকুপা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী তফশিল ঘোষণার পর সারুটিয়া ইউনিয়নে একের পর এক নির্বাচনী সহিংসতা ঘটছে। এক এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকলে দূরবর্তী অন্য এলাকায় সহিংসতা ঘটছে। পুলিশ হাঙ্গামাকারীদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠাচ্ছে।
হারান বিশ্বাস হত্যা মামলা এখনও মামলা হয়নি; জসিম হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
শনিরার নিহত জসিম উদ্দিনকে নিজের সমর্থক দাবি করেছেন নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন। শনিবার দুপুরে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নজরুল ইসলাম সারুটিয়া ইউনিয়নে আসেন। তিনি শুক্রবারে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।