এশিয়া, আফ্রিকাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলের দেশগুলোকে আশ্বস্ত করে চীন বলেছে, বেইজিংয়ের চারটি ভ্যাকসিন শেষ ধাপের ট্রায়ালে পৌঁছেছে। এর যেকোনও একটি নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণ হলে সবাই সেগুলো পাবে। বাংলাদেশকে ভ্যাকসিনের ১ লাখ ১০ হাজার ডোজ ফ্রি দেবে চীন।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) নির্বাহী পরিচালক ডা. জন ডি. ক্লেমেন্স নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, বেইজিংভিত্তিক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সিনোভ্যাক বায়োটেক বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ৪ হাজার ২০০ স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে তাদের ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালাবে। চীনা এই কোম্পানি বাংলাদেশকে বিনামূল্যে এক লাখ ১০ হাজারের বেশি ডোজ দিতে রাজি হয়েছে।
করোনার ভ্যাকসিনের দৌড়ে এখন পর্যন্ত চীন-রাশিয়া সবচেয়ে এগিয়ে। রাশিয়া জাতীয়ভাবে ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়ে ব্যবহার শুরু করেছে। ‘স্পুটনিক ভি’ নামের ওই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল এখনো শেষ হয়নি।
চীনের চারটি ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে আছে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ এত ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে নিতে পারেনি।
বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে আইসিডিডিআরবি’কে। সংস্থাটি কয়েক দিন ধরে বলে আসছে, খুব দ্রুত আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রায়াল শুরু হবে।
এদিকে ইন্দোনেশিয়াকেও করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণায়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, শি জিনপিং বলেছেন, এ ভ্যাকসিন দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
এদিকে চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে প্রতিদিন মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ লাখ ১৩ হাজার ৯০৮ জন। আর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৩ লাখ ২৪ হাজার ৬৬৫ জনে। তবে ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ কোটি ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯০ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় সর্বাধিক মৃত্যু ও সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মারা গেছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩২৮ জন। দেশটিতে ৬৫ লাখ ৮৮ হাজার ১৬৩ জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে ও মৃতের সংখ্যায় ৩য় অবস্থানে আছে ভারত। ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ লাখ ৫৯ হাজার ৭২৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৬ হাজার ৩০৪ জনের।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় এবং মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ২৯ হাজার ৫৭৫ জন। এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ লাখ ৩৯ হাজার ৭৬৩ জন।