বাংলাদেশিরা ভারতে না যাওয়ায়, চরম অর্থ সংকটে পড়েছেন, দেশটির বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা।
পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের সিংহভাগই টিকে থাকেন, বাংলাদেশের পর্যটকদের ব্যয়ের ওপর। কোভিড-১৯ কারণে বাংলাদেশিরা যেতে না পারায় এখন বন্ধ হতে বসেছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
কলকাতায় বেড়াতে আসা এমন কোনো বাংলাদেশি পযর্টক নেই যে সদর স্ট্রিটের এই রেস্তোরাঁয় একবেলা খাননি। ভারতে এখন মোটামুটি প্রায় সব কিছুই চলছে স্বাভাবিক গতিতে।
তবে এই রেস্তোরাঁর দরজা বন্ধ! বাস্তবতা হলো, তাদের পক্ষ থেকে কথা বলার মতো কোনো মানুষও নেই এখানে।
মারকুইস স্ট্রিট, রফি-আহমেদ কিদয় স্ট্রিট, ফ্রি-স্কুল স্ট্রিট, নিউ-মার্কেট এলাকায় প্রায় ছোট-বড় তিন শতাধিক আবাসিক হোটেল রয়েছে।
রয়েছে বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের দোকানও। যার অধিকাংশই এখন বন্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশি পর্যটক না আসার কারণে।
সরকারি হিসেব বলছে, চিকিৎসা, পড়াশোনা, কেনাকাটা ও বেড়ানোর প্রয়োজনে স্বাভাবিক সময়ে গড়ে প্রতিদিন সাড়ে ছয় থেকে সাত হাজার বাংলাদেশি পর্যটক আসেন ভারতে।
তাদের ৮০ শতাংশই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে থাকেন। আর তাদের ঠিকানা নিউ-মার্কেট এলাকার এই হোটেল পাড়ায়। আজ যা বাংলাদেশি পর্যটকের অভাবে খাঁ খাঁ করছে।
বাংলাদেশিদের অভাবে কলকাতার বেশ কয়েকটি ব্যবসা খাত এখন চরম সংকটে পড়েছে।