আজ - শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - বিকাল ৩:০৫

বাঘারপাড়ার বিতর্কিত ফাতিমা ক্লিনিকসহ ৪ প্রতিষ্ঠান সিল

লাইসেন্স, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ডাক্তার, ডিপ্লোমা নার্সসহ অনেক কিছু না থাকায় যশোরের বাঘারপাড়ার বিতর্কিত ফাতিমা ক্লিনিকসহ ৪ টি বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সিল করেছে যশোর স্বাস্থ্যবিভাগ। ২ মার্চ যশোরের সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীনের নেতৃত্বে পরিচালিত পরিদর্শন কার্যক্রমের সময় সিল করা হয়। ওই ৪ টি প্রতিষ্ঠান দিনের পর দিন বিধি উপেক্ষা করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে চলছিল। যশোরে স্বাস্থ্যসেবা সেক্টরে অনিয়ম অসংগতি রুখতে এ অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন। যশোর সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানিয়েছে, সংঘবদ্ধ অসাধু চক্র যশোর শহরসহ উপজেলা ও ছোট বড় বাজার পর্যায়ে অনেক স্পটে অবৈধভাবে হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানকে দফায় দফায় সতর্ক করলেও তারা সতর্ক না হয়ে উল্টো রোগী সেবার নামে প্রতারণা অব্যাহত রাখে। স্বাস্থ্য বিভাগের কোন অনুমোদন ছাড়াই শয্যাও খোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি নেই, ডাক্তার নার্স নেই, এরপরও প্রতিদিন রোগী দেখা হচ্ছে, রোগী ভর্তি রাখা হচ্ছে, প্যাথলজিক্যাল নানা পরীক্ষা নিরীক্ষাও করা হচ্ছে। এসব ভয়ংকর সব তথ্য আসতে থাকলে মঙ্গলবার দুপুরে বাঘারপাড়ায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় স্বাস্থ্যবিধির ব্যত্যয় ঘটিয়ে চলা ওয়াহিদুর রহমানের মালিকানাধীন ফাতেমা ক্লিনিকে পাওয়া যায় নানা অসংগতি।উপজেলা পরিষদের সামনে স্বাস্থ্যসেবার নামে যথেচ্ছা চালিয়ে যাওয়া ফাতিমা ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার ও আল্ট্রাসনো রুম সিলগালা করা হয়। প্যাথলজি ল্যাব না থাকা সত্বেও মেমো কাটা হয়। ডাক্তার নার্স কিছুই পওয়া যায়নি ওই সময়। ডাক্তারের চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রও পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও হাজী ডায়াগনস্টিক ও প্রথমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে নানা অনিয়ম অসংগতি ও স্বাস্থ্যবিধির ব্যত্যয় লক্ষ্য করেন অভিযানিক টিম। ওই দুটি প্রতিষ্ঠানও সিল করা হয়। এদিকে চৌরাস্থা মোড়ের আনোয়ারা ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হলেও আল্ট্রাসনো করা হয়। এখানেও ডাক্তার-নার্সকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদিকে একই এলাকায় অবস্থিত মোল্লা ডেন্টাল কেয়ারের মালিক মনিরুল ইসলাম অভিযানের কথা শুনে পালিয়ে যান। পরে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া বাঘারপাড়া ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে নানা বিষয়ে সতর্ক করা হয়। একইদিন বাঘারপাড়ার জান্নাতি ও রাজমহল নামে দুটি হোটেলে পঁচাবাসী খাবার নষ্ট করা হয় এবং হোটেল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়। বাঘারপাড়ার বিতর্কিত ফাতিমা ক্লিনিকসহ ৪ প্রতিষ্ঠান সিল

অভিযানের সময় সিভিল সার্জনের সাথে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার আব্দুর রহিম মোড়ল, সিনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারী ডাক্তার শরিফুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এবং সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান।সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন দৈনিক গ্রামের কাগজকে জানিয়েছেন, অনেকগুলো নেই নেই এর মধ্যে চলছিল ওই প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদেরকে বারবার নোটিশ করা হয়েছে কাগজপত্র হালনাগাদ করতে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কিছুই করেনি। লাইসেন্স না থাকা, প্যাথলজি সমস্যা, ডাক্তার নার্স না থাকায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলায় অবস্থিত বিভিন্ন ক্লিনিকে অভিযানের অংশ হিসেবে বাঘারপাড়ায় অবস্থিত ক্লিনিক গুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে। দেখা গেছে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার সমস্যা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি, পরিবেশ ও নারকোটিক্স সার্টিফিকেট নেই। বিভিন্ন সমস্যার কারনে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত