যেকোনও ধরনের নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, বায়তুল মোকাররম, জাতীয় প্রেসক্লাব এবং জিরো পয়েন্টসহ আশেপাশের সকল এলাকায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যরা।
শনিবার সকাল থেকেই এসব এলাকায় একাধিক দল ও উপদলে বিভক্ত হয়ে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।এসব এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় বাসে বাসে রিজার্ভ পুলিশ সদস্যদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এদিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটের সিঁড়িতে বেশ কিছুসংখ্যক মুসল্লিকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখা যায়। বায়তুল মোকাররম ও আশেপাশের এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বেল সাড়ে ১১টায় সরেজমিনে এসব এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন। তার এই সফরকে ঘিরে প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন ইসলামি দলগুলোর নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা।
জুমার নামাজের পর প্রথমে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর সন্ধ্যায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার সড়ক অবরোধ করে রাখেন ওই এলাকার কুতুবখালী মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ (ডিএমপি) দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সতর্ক থাকতে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডিএমপির কন্ট্রোলরুম থেকে রাজধানীতে কর্মরত ৮টি বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি), অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ও সহকারী পুলিশ কমিশনারদের (এসি) সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ডিএমপির থানাগুলোতে পুলিশ ফাঁড়ি ও বক্সে যেকোনও সময় হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য এসব স্থানে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি বাড়াতে হবে। এছাড়া যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে শুক্রবার দিবাগত রাতে ও শনিবার সকালে পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে।
পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া রাজধানীকে নিরাপদ রাখতে রাতে পুলিশের পেট্রোলিং বাড়ানোসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সজাগ থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।